Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

rangpurরংপুরের তারাগঞ্জে এক তরুণীকে শারীরিক নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বর্তমানে ওই তরুণী স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত চার বছর আগে তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালি ইউনিয়নের বালাবাড়ি জালাদ শাহপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২২) কাতারের একটি মেডিকেলে পরিছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন।

chardike-ad

কাতারের একই মেডিকেলে নওগাঁ জেলার ধামাইয়ের হাট উপজেলার হরিতকির ডাঙ্গা গ্রামের মৃত দেওয়ান আব্দুল মাসুদ মিয়ার মেয়ে রোকসানা খাতুন কাজ করে আসছিলেন।

বাংলাদেশি হওয়ায় তাদের মধ্যে পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর আশরাফুল রোকসানাকে বিয়ের অশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন।

সম্প্রতি তারা দুই মাস আগে বিয়ে করতে দেশে ফিরেন। দেশে ফিরে দুজনেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রাখেন। একপর্যায়ে আশরাফুল রোকসানাকে বিয়ের প্রস্তুতির অজুহাত দেখিয়ে মাসখানেক আগে রোকসানার কাছ থেকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নেন।

এদিকে আশরাফুলের পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে আশরাফুলকে জোরপূর্বক তাদের গ্রামের এক তরুণীকে দিয়ে গত ২ মার্চ শুক্রবার কৌশলে অন্যত্রে বিয়ে করিয়ে দেয়। বিয়ের পর আশরাফুল প্রেমিকা রোকসানার সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয়। এতে নওগাঁ থেকে গত ৪ মার্চ রোববার রাতে রোকসানা আশরাফুলের বাড়িতে গিয়ে তার ঘরে প্রবেশ করেন। কিন্তু ঘরে আশরাফুলের নববধূকে দেখে প্রেমিক আশরাফুলের সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ায় আশরাফুলের পরিবারের লোকজন রোকসানাকে কয়েক দফা শারীরিক নির্যাতন করে তার সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল ফোনসহ ২১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

পরে রোকসানা বাড়ি থেকে বের হতে না চাইলে আশরাফুলের পরিবারের লোকজন রোকসানার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে ওই দিন রাতেই প্রায় ১১টার দিকে বাড়ির বাইরে রাস্তায় ফেলে দেয়।

খবর পেয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় রোকসানাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রোকসানার শরীর থেকে বিষ বের করেন।

ভুক্তভোগী রোকসানা জানান, বিদেশে থাকতেই বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আশরাফুল জোরপূর্বক তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং তিন দফায় আড়াই লাখ টাকাও নেয়। কথাগুলো বলতে গেলে অজ্ঞাত দুই নারী এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে কিলঘুষি দেন। এরপর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আশরাফুলের মা মুখে বিষ ঢেলে দেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

রোকসনার বড় বোন শিমু বেগম জানান, আমার বোন সুস্থ হওয়ার পর আশরাফুল ও তার পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হবে।

তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মোস্তাফা জামান বলেন, রোকসানার চিকিৎসা চলছে। তার সুস্থ হতে সময় লাগবে।

তারাগঞ্জ থানার ওসি জিন্নাত আলী বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।