Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

lebanonদীর্ঘ সময় ধরে বার বার যুদ্ধের কবলে পড়ে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এখন ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে লেবানন। রাজনৈতিক সংকট আর নানাবিধ অস্থিরতা পিছু না ছাড়লেও ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে অর্থনীতি, বাড়ছে শ্রমবাজার।

কিন্তু সম্ভাবনাময় এই শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে গিয়েই হোঁচট খাচ্ছেন বাংলাদেশী শ্রমিকরা। দালালদের কারণে গুনতে হচ্ছে প্রায় তিনগুণ ভিসা ফি। সেই সাথে মিলছে না প্রত্যাশিত কাজ ও বেতন।

chardike-ad

সম্প্রতি বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানে এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রবাসী শ্রমিকরা। তারা বলেন, ‘ঢাকা থেকে একটা লোক এখানে আনে ৬-৭ হাজার ডলার দিয়ে। এখানে এনে বেচা কেনা করে। এটা ব্যবসা। তিন মাস ভিসার পরে যখন আকামা করতে যাচ্ছে, আকামা করতে পারছে না।’

সরকারী হিসাবেই এখন প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করছেন লেবাননে। এর অধিকাংশই অদক্ষ নারী শ্রমিক, যারা নিযুক্ত গৃহস্থালির কাজে। দালালদের খপ্পরে পড়ে অপরাধমূলক ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন এই নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ।

তারা বলেন, ‘অসাধু লোকের মাধ্যমে কিছু লোক এসে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। কাজ কর্ম না পেয়ে মেয়েরা খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আমরা দালালমুক্ত লেবানন চাই।’ এ অবস্থায় রীতিমতো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বাংলাদেশি দূতাবাস। দালালদের হুমকিতেই যেনো অসহায় রাষ্ট্রদূত।

লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকার বলেন, ‘যারা এই দালালি কাজে যুক্ত। তারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমাদের রীতিমত হুমকি দেয়।’ দুর্ভোগ এড়াতে শ্রমিকদের আরো সচেতন হওয়ার তাগিদ দিচ্ছে দূতাবাস।

সূত্র: সময় টিভি