কলকাতায় একটি বিলাসবহুল গাড়িতে তিন বছরের এক কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার ক্যানাল রোডে পার্কিংয়ে থাকা গাড়িতে ধর্ষণের ওই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণের সময় শিশুটির বড় ভাই বাসের দরজায় আঘাত করে তার বোনকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলেও কোনো কাজ হয়নি।
কলকাতার পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম শেখ মুন্না (৪৫)। তিনি বাসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ওই কন্যাশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর শিশুটিকে উদ্ধার করে আর জে কার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খবরে বলা হয়, কন্যাশিশুটি তার পাঁচ বছর বয়সী ভাইয়ের সঙ্গে খেলছিল। তখন পরিচ্ছন্নতাকর্মী শেখ মুন্না ওই শিশুকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে বাসের ভেতরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে শিশুটির ভাই গাড়ির দরজায় আঘাত করে তার বোনকে ছেড়ে দিতে মিনতি জানায়। কিন্তু অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এতে কোনো কর্ণপাত করেননি। এরই মধ্যে আশপাশের লোকজন এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা চিকিৎসকের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। অভিযুক্তকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আমাদের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন।’
হাসপাতালটির চিকিৎসকেরা বলছেন, ওই কন্যাশিশুকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক বলেন, শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে, তবে সোমবার রাত থেকে এখন শারীরিক অবস্থা উন্নতি হয়েছে। তবে লক্ষণগুলো পরিষ্কার যে মেয়েটি বর্বরতার শিকার হয়েছে।
সুত্রঃ প্রথম আলো