Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ দূত জানান আগামী মাসে দুই দেশ একটি সম্মেলনে বসতে যাচ্ছে। দুদেশের মধ্যেকার ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পানমুনজম সীমান্ত এলাকায় যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে মঙ্গলবার অবহিত করেন দক্ষিণ কোরীয় সেই দূত।

chardike-ad

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং ইউই ইয়ং সে বিষয়ে বলেন, ‘এপ্রিল শেষ নাগাদ পানমুনজম সীমান্ত এলাকায় তৃতীয় সম্মেলন আয়োজনে সম্মত হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।’

ভারী অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত পানমুনজমে সম্মেলনটি আয়োজন সম্পন্ন হলে এটি হবে ১৯৫০-৫৩ কোরিয় যুদ্ধের পর এমনতর তৃতীয় সম্মেলন। উল্লেখ্য দুই কোরিয়া কোন ধরণের শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে নয় বরং অস্ত্রবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে যুদ্ধ স্থগিত করেছিল। এর আগে দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্মেলন দুটি যথাক্রমে ২০০০ ও ২০০৭ এ আয়োজিত হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার দুই প্রেসিডেন্ট কিম দাই জুং ও রোহ মো হিউন পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সংলাপে সম্মত হয়েছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক দুই প্রেসিডেন্টই কিমের বাবা কিম জং ইলের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন।

বর্তমান দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চুং মঙ্গলবার আরো জানান, দুই কোরিয়ার মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা নিরসন এবং সমন্বয় প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মুন ও কিমের মধ্যে সরাসরি টেলি যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দেশ দুটি।

পরিকল্পিত আগামী সম্মেলনের পূর্বেই দুই নেতার মধ্যে প্রথম ফোনালাপ হবে বলে জানান চুং। উত্তর কোরিয়া আরো আশ্বস্থ করে চলমান এই সংলাপ চলাকালে তারা তাদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কর্মসূচি স্থগিত রাখবে।