৪ বলে ৪ উইকেট। এ যেন রীতিমতো তাণ্ডব। ৪ উইকেট হলেও ক্রিকেটে এটিকে ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’ই বলে। আজ অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে এ অবিশ্বাস্য কীর্তিই গড়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজার। অবিশ্বাস্যই তো! ক্রিকেটে এমন ঘটনা যে বেশ বিরল।
স্বীকৃত ক্রিকেটে এ কীর্তি আছেই মাশরাফিসহ সাতজনের। পাঁচটিরই সাক্ষী ইংলিশ কাউন্টি। ১৯৭০ সালে ইংলিশ বোলার অ্যালান ওর্ড ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ডার্বিশায়ার ও সাসেক্স ম্যাচে।
অনেক বছর পর, ১৯৯৬ সালে এমন কীর্তি দ্বিতীয়বারের মতো করেন দক্ষিণ আফ্রিকার শন পোলক—তিনি খেলছিলেন ওয়ারউইকশায়ারে, লিস্টারশায়ারের বিপক্ষে। তিন বছর পরই, ১৯৯৯ সালে এমন কীর্তি গড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাসবার্ট ড্রেকস।
নটিংহামশায়ারের হয়ে ড্রেকস খেলছিলেন ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে। ২০১০ সালে চতুর্থ ঘটনাটি চেমসফোর্ডে। গ্লস্টারশায়ারের হয়ে এসেক্সের বিপক্ষে টানা ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ইংলিশ বোলার ডেভিড পাইনি। মাশরাফির আগে শেষবার টানা ৪ উইকেট ইংলিশ গ্রাহাম নেপিয়ারের, ২০১৩ সালে এসেক্স ও সারের ম্যাচে।
ষষ্ঠ বোলার হিসেবে সে তালিকায় ঢুকে গেলেন মাশরাফি। ৫০তম ওভারে তাঁর ধারাবাহিক শিকার ধীমান ঘোষ, আবদুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম ও ফজলে রাব্বি। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়েই অগ্রণী ব্যাংককে ১১ রানে হারিয়েছে আবাহনী।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘ডাবল হ্যাটট্রিকে’র একমাত্র ঘটনা শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার। ২০০৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গায়ানায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই কীর্তি ছিল তাঁর।
সুত্রঃ প্রথম আলো