স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ ক্রিকেটার জুয়েলের বীরত্ব গাঁথা গল্প শুনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পরলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আর শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতে একটি জয় পেলেই উজ্জীবিত চেহারায় ফিরবে দল। এমন প্রত্যাশা ওয়ানডে অধিনায়কের।
মুক্তিযুদ্ধের এমন বীরত্ব গাঁথা ইতিহাস কাকে না ছুঁয়ে যায়। হোক না সে ক্রিকেটার কিংবা সাধারণ মানুষ। প্রোজেক্ট লন্ডন ১৯৭১’র আয়োজনে কুইজে একাত্তর অনুষ্ঠানে যখন শহীদ সন্তান ডা. নুজহাত শহীদ ক্রিকেটার জুয়েলের মাঠের খেলায় পাকিস্তানের কাছে নিগৃহীত আর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের গল্প বলছিলেন। তখন মঞ্চে থাকা বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়কও ধরে রাখতে পারেননি অশ্রু। তরুণ প্রজন্মের আদর্শ মাশরাফি। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ছুঁয়ে গেছে তাকেও। নতুনদের আহ্বান জানালেন সঠিক ইতিহাস জানার।
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের এ অধিনায়ক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমি নিজেই অনেক কিছু জানি না। যেহেতু কুইজ অনুষ্ঠান হচ্ছে তাই এখান থেকে অনেক কিছু শেখার সুযোগ রয়েছে। যারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য দিচ্ছিলেন। বিশেষ করে শহীদ জুয়েল ভাইয়ের সম্পর্কে। তাদের কথা শুনলে স্বাভাবিকভাবেই একটু ইমোশনাল হয়ে যাওয়ার কথা।
মাশরাফি বলেই ঘুরে ফিরে আসে ক্রিকেটের আলোচনা। সামনে টাইগারদের শ্রীলঙ্কা সফর। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত একটা দল কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এমন অবস্থা থেকে? ম্যাশের উপলব্ধি একটা জয় সব কিছু পাল্টে দিতে।
মাশরাফি বলেন, যেহেতু সিরিজটা টি-২০ তাই বিষয়টা ততোটা সহজ হবে না। যদি দুই-একটি ম্যাচ আমরা ভালো খেলতে পারি তবে এই অস্থিরতা কিছুটা কমবে এবং টিমটা আরও বেশি স্যাটেল হয়ে যাবে। আমরা এখন জেতার জন্য খেলতে নামি, সবাই চায় আমরা যেন জিততে পারি। এখন আর আগের পরিস্থিতি নেই।
মাশরাফি সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কায়। সেসময়গুলো মিস করবেন কিনা? উত্তরটা পেশাদার। তিনি বলেন, যেটা ছেড়ে এসেছি সেটা নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। যারা খেলবেন তাদের জন্য অবশ্যই শুভকামনা থাকবে। শ্রীলঙ্কা সফরে ভালো করা কঠিন হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য রয়েছে বাংলাদেশের। প্রত্যাশা মাশরাফির।
সূত্র- সময় নিউজ