Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইংরেজি শিক্ষা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। মূলত প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে কম বয়সে ইংরেজি ভাষা অনুশীলনের ‘কু-প্রভাব’ কমানো যায়।

১ মার্চ, বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত আরোপ করা হয়। ২০১৬ সালের সাংবিধানিক আদালতের এক নীতি অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এই নীতিতে বলা হয়, ইংরেজি শিক্ষা শিশুদের কোরিয়ান ভাষা শিক্ষার অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে। খবর আল জাজিরা

chardike-ad

দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানান, অনেক ইংরেজি শিক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং স্নায়ুবিজ্ঞানীদের মতে, দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখা শুরু করার সবচাইতে ভালো সময় হলো তৃতীয় শ্রেণী। এর আগে ইংরেজি শিক্ষা শুরু করার দরকার নেই।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষক চাকরি হারাবেন। শুধু তাই নয়, আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং অসচ্ছল পরিবারের শিশুদের মাঝে এই ব্যাপারটা অনেক বড় পার্থক্য তৈরি করবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়াতে অনেক কিন্ডারগার্টেনে ইংরেজি শেখানো হয়। এসব প্রাইভেট একাডেমিতে ইংরেজি শেখানো হয় অনেক কম বয়সে এবং এখানে ইংরেজি শিক্ষায় ওই নিষেধাজ্ঞা কোন প্রভাব ফেলবে না। এসব একাডেমিতে শিশুদের পাঠানোর ক্ষমতা সব পরিবারের নেই। তাই তৃতীয় শ্রেণীতে গিয়ে ইংরেজি পড়ানো শুরু করলে শিশুদের মাঝে অনেক বড় একটা ফারাক দেখা দেবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানান, অসচ্ছল পরিবারের শিশুদের জন্য সরকারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কোরিয়ার একজন প্রাইভেট ইংরেজি শিক্ষক কিম হি-ওন মন্তব্য করেন, ইংরেজি শেখার কারণে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষায় প্রভাব পড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি সিউলে ইংরেজি শিক্ষা দিয়ে আসছেন ২০০৩ সাল থেকে।

শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার দেশটির পিতামাতাদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইংরেজিকে অবশ্যই দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শেখাতে হবে, প্রথম ভাষা নয়।

সূত্র: Al Jazeera