সিরিয়ায় এক ধ্বংসাত্মক রাসায়নিক গ্যাস হামলায় আহত হয় ছোট বোন। তাই তাকে কোলে নিয়ে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে ধীরে ধীরে নিজেই কিনা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো বড় বোন! বিশ্ব বিবেককে জাগিয়ে তুলতে এই একটি ছবিই যথেষ্ট। এই দৃশ্য দেখার পরও কী আমাদের বিশ্ব বিবেক চুপ করে থাকবে?
অক্সিজেন মাস্ক ছিল ১টি আর প্রান ছিল ২টি। বোনের চেয়ে সে নিজেই আহত ছিল বেশী। বর্তমান সিরিয়ায় এরকম হৃদয়বিদারক ঘটনা অহরহই ঘটছে। প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। মানবতা আজ কোথায়?
গত এক মাসে সিরিয়ায় সিরিজ বোমা হামলায় নিহত প্রায় ৪ শত এরও অধিক, এদের মধ্যে শিশু রয়েছে প্রায় ২ শত। জাতিসংঘ এক মাসের যুদ্ধবিরতির কথা বললেও মানা হচ্ছে না। নিয়মিতই বোমা হামলা হচ্ছে। সিরিয়া যেন এক মৃত্যপুরী।
সিরিয়ার আসাদ নিয়ন্ত্রিত গোতা এলাকায় চরম মানবাধিকার লঙ্গনের স্বীকার হচ্ছে সাধারন জনগন। ২০১৪ সাল থেকে অবরুদ্ধ থাকার পর গত কিছুদিন থেকে সেখানে আসাদ নিয়ন্ত্রিত সরকারী বাহিনী এবং রাশিয়া হামলা চালায়।
এপর্যন্ত প্রায় ৫০০ জনের মতো নিহত হয়েছে যার অধিকাংশ নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দার পরও সেখানে হামলা বন্ধ হচ্ছে না। জাতিসংঘ গোটা সিরিয়ায় ৩০ দিনের যুদ্ধ বিরতির কথা বললেও আদলে কেউ মানছে না। নিয়মিতই বোমা হামলা হচ্ছে। এককথায় সিরিয়া এখন মৃত্যপুরী। সবাই মৃত্যর দরজায় দাঁড়িয়ে, যার যখন আসে।