জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, এ দেশের মানুষ দুই দলকে আর চায় না। সন্ত্রাস-দুর্নীতি চায় না। ভোটের মাধ্যমে এর পরিবর্তন হতে হবে। কিন্তু সমস্যা হলো দেশেতো এখন আর ভোট হয় না। তবে এখন মানুষ অনেক সচেতন, এবার কিছুটা হলেও ভোট হতে পারে। তাই জনগণের কাছে যেতে হবে। আমাদের সামনে এখন সুদিন অপেক্ষা করছে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আকাশ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আলমগীর সিকদার লোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাপা মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাহিদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভরায়, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, রিন্টু আনোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মাহমুদ, মন্টি চৌধুরী এবং লেখকের সহধর্মিণী নাজনিন সুলতানা লাকী বক্তব্য রাখেন।
এরশাদ বলেন, এখন মন্দির লুট হয়, জমি দখল হয়, আমাদের সময় এগুলো হয়নি। তাই মানুষ আমাদের চায়। মানুষ আজ অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ট। বর্তমানে মেধার চেয়ে দলের কদর বেশি। গতকালও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ মারামারি করেছে। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষিত রাখব। কারণ তারা এত টাকা খরচ করে সংসদে আসতে পারে না।
সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করেছেন উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ১৯৮৭ সালে আমি আইন করেছিলাম সব অফিস আদালতে বাংলাভাষা ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আমরা সবকিছু ভুলে যাই তেমনি এটাও ভুলে গেছি। দলের নেতাকর্মীদের তিনি জাতীয় পার্টির সময়ের উন্নয়নের কথা তুলে ধরার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ঢাকায় এখন আড়াই কোটি মানুষ, কিছুদিন পর ৫ কোটি হবে। তখন কী অবস্থা হবে। তাই আমি বলেছি, ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করব। শুধু বিভাগ করলে হবে না। প্রদেশ করতে হবে। সেখানে আলাদা সরকার থাকবে তাহলে মানুষ ঢাকায় আসবে না। ঢাকার যানজটের কারণে চলা যায় না এনিয়ে কেউ কিছু ভাবছে না, দশ বছর পর এই শহরের অবস্থা কী হবে। এরশাদ বলেন, এখন সব জায়গায় দুর্নীতি ও দলীয়করন। কনস্টেবল নিয়োগে দশ লাখ, শিক্ষক নিয়োগে লাগে ২০ লাখ। এটা এখন ঘৃনিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। এসব আমাদের সময় ছিল না।
এর আগে প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপার লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন এরশাদ। বই দুটির নাম ‘জাতীয় পার্টি কেন করবেন’ ও কবিতার বই ‘তোমার জন্য’। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের বইটি পড়ার আহবান জানান।