japanশরণার্থীদের ব্যাপারে জাপান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির তেমন কোন পরিবর্তন ঘটেনি। জাপান দীর্ঘদিন ধরেই শরণার্থীদের ঢলের বিষয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার আবেদন পেলেও তেমন কোন সাড়া দিচ্ছে না জাপান সরকার।

জাপান সরকার ২০১৭ সালে মাত্র ২০ জন রিফিউজি (শরণার্থী)-কে বৈধভাবে জাপানে থাকার অনুমতি দিয়েছে। যদিও ১৯ হাজার ৬২৮টি আবেদন জমা হয়েছিল।

chardike-ad

অভিবাসন নিয়ে জাপান সরকার তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কোন পরিবর্তন আনেনি। যদিও জাপান বিশ্বে সবচেয়ে বড় দাতা দেশ হিসেবে স্বীকৃত। তারপরও নিজ দেশে অভিবাসন আইনের সংস্কার কিংবা অবৈধভাবে থাকা অভিবাসীদের বৈধ করে নিতে বরাবরই উদাসীন। এমনকি ২০০২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজক দেশ হিসেবে দেশটিতে থাকা অবৈধদের বৈধ করে নেয়ার কোন ঘোষণা দেয়নি।

জাপানে সব মিলিয়ে মোট ৫৭টি প্রতিষ্ঠান রিফিউজিদের নিয়ে কাজ করছে। তার মধ্যে ৫টি রয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেন্ট (আইওএম) রয়েছে। জাপান সরকারের পরিচালিত ৮টি, যার মধ্যে পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, শ্রম ও বিচার মন্ত্রণালয় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও, এনপিও পরিচালিত আরো ৪৪টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে রিফিউজিদের নিয়ে।

জাপানে রিফিউজি ভিসার জন্য আবেদনের জন্য গত বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে রেকর্ড গড়ে ১৯,৬২৮টি দরখাস্ত জমা হয়। যা ২০১৬ সালের তুলনায় ৮০% বেশি। ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিল ১০,৯০১টি (সূত্র জাপান টাইমস)

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকা, নেপাল, আফগানিস্তান, ভারত এবং পাকিস্তানের নাগরিকরা রিফিউজি ভিসার জন্য তাদের আবেদন জমা দিয়েছেন। বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকেও আবেদনপত্র জমা হলেও সংখ্যার দিক থেকে কম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে যেসব আবেদন জমা হয়েছে- তার সিংহ ভাগই রাঘববোয়ালরা প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। বাংলাদেশে রাজনীতি এবং ধর্মীয় বঞ্চনার শিকার দেখিয়ে রিফিউজি ভিসা করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাথে করে এনে জাপানে রেখে যান।

অনেকে আবার প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। ২০১৩ সালে এমনিভাবে ২ জন বাংলাদেশি দালালদের প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। দালালদের খপ্পরে পড়ে বাংলাদেশ থেকে ২০১৩ সালে জাপানে এসেছিলেন দুইজন রাজনৈতিক কর্মী। পর্যটক ভিসায় আসলেও দেশে তাদের রাজনৈতিক হয়রানি করা হচ্ছে জানিয়ে তারা আশ্রয়ের আবেদন করেন। দালালরা তাদের প্রস্তাব দেয় যে, তারা যদি সেখানে কাজ করেন, তাহলে তাদের আশ্রয় পেতে সুবিধা হবে। পরে তারা প্রতারণার শিকার হন।

অনেক বিদেশি আছেন ছাত্র ভিসায় জাপান এসে ভিসার ধারা বজায় না রেখে শরণার্থী হয়ে ভিসার জন্য আবেদন করেন। শরণার্থী ভিসার জন্য আবেদন করার পর ফলাফল জানা পর্যন্ত কাজ পেতে বা কাজ করতে কোন বাধ্য বাধকতা নেই। এমন কি জাপান সরকারকেও কোন কর দিতে হয় না।

সৌজন্যে- ঢাকাটাইমস