শেষ ২ বলে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৫ রান। হাতে ৬টি উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে স্নায়ুচাপের খেলাটা দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেন টম কুরান। তার করা শেষ ওভারের শেষ দুটি বলে ২ রানের বেশি নিতে পারেনি নিউজিল্যান্ড, তীরে এসে ডুবেছে তাদের তরীটা।
তবে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ২ রানে হেরে গেলেও রান রেটে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডের সমান পয়েন্ট (এক জয়ে ২ পয়েন্ট) নিয়েও ট্রান্স-তাসমান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে উঠে গেছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ এখন পর্যন্ত সিরিজে অপরাজিত অস্ট্রেলিয়া।
হ্যামিল্টনে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমেও অধিনায়ক ইয়ন মরগান আর ডেভিড মালান জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল ইংল্যান্ড। ৪৬ বলে ৮০ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলেন মরগান, যে ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারির পাশে ছিল ৬টি ছক্কার মার। ৩৬ বলে ২ চার আর ৫ ছক্কায় ৫৩ রান করেন মালান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৫০ রান খরচ করলেও ৩টি উইকেট তুলে নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ২২ রানে ২টি উইকেট নেন টিম সাউদি।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন মার্টিন গাপটিল আর কলিন মানরো। ৬.৩ ওভারের জুটিতে এই যুগল তুলেন ৭৮ রান। ৪৭ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ৬২ রান করে আউট হন গাপটিল।
মানরো ছিলেন আরও ভয়ংকর। মাত্র ২১ বলে ৫৭ রান করেন এই ওপেনার, যে ইনিংসে ৩টি চারের পাশে ছিল ৭টি ছক্কা! তবে দুই ওপেনার ফেরার পর রান তোলার গড়ে পিছিয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ১৩ বল খরচ করে আউট হন মাত্র ৮ রানে। শেষ দিকে মার্ক চ্যাপম্যান ৩০ বলে হার না ৩৭ করলেও দলকে জয় এনে দেয়ার জন্য সেটা যথেষ্ট ছিল না।