Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

transvia-airবায়ু ত্যাগ সংক্রান্ত ব্যাপারে গোপাল ভাঁড়ের কীর্তি বেশিরভাগ মানুষেরই জানা। তিনি বায়ু ত্যাগ করে প্রদীপ নিভিয়ে ফেলতে পারতেন বলে শোনা যায়। তা নিয়ে রসিক গোপাল বড়াইও করতেন। তবে সবাই তো আর গোপালের মতো নয়। সে কারণে অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখেই বায়ু ত্যাগ করেন অনেকেই। কোনো কারণে শব্দ হয়ে গেলেই লজ্জিত হয়ে পড়েন তারা। সে কারণে অনেক সময় বায়ু ত্যাগ না করেই থাকেন অনেকে।

তবে যারা গোপালের দলে, তারা অবশ্য লোকলজ্জার তোয়াক্কা না করে কাজটি সেরে ফেলেন। সে বাসেই হোক আর ট্রেনেই হোক; ‘নির্লজ্জ’ গোপাল মাঝেমাঝেই দৃশ্যমান হয়ে যায়।

chardike-ad

সম্প্রতি বিমানে এক ব্যক্তি বায়ু ত্যাগ করে ফেলেন। তবে বায়ুত্যাগের পর বিদঘুটে গন্ধের ঠেলায় বাকি বিমানযাত্রীরা অসহ্য হয়ে পড়েন। দু-একবার সহ্যের পর অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন বিমানযাত্রীরা। অবশেষে বিমানটি জরুরি অবতরণ করানো হয়। গোপাল ভাঁড় বেঁচে থাকলে, নিশ্চিত তিনিও লজ্জা পেতেন। একটা বিমান নামানোর ‘সৌভাগ্য’ যে তার হয়নি।

গল্প নয়, সত্য ঘটনা। দুবাই-আমস্টারডাম ট্রানসাভিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে এমন ঘটনা ঘটেছে। বাতকম্মের গন্ধে অস্থির হয়ে যাত্রীরা মেজাজ খারাপ করলে, বাধ্য হয়ে বিমানটি ভিয়েনায় জুরুরি অবতরণ করতে হয়।

পরে, সন্দেহভাজন চার যাত্রীকে ওই বিমান থেকে নামিয়ে দেয় পুলিশ। ভবিষ্যতে তারা আর ওই এয়ারলাইন্সের বিমানে উঠতে পারবেন না। তবে, পুলিশের হাতকড়া পরে জেল পর্যন্ত যেতে হয়নি এটা ভাগ্য তাদের।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ