jamal-usযুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের হনুলুলু বিমানবন্দরে বাংলাদেশগামী বিমান থেকে নামানো হলো বহিষ্কার স্থগিতের আদেশ পাওয়া সেই বাংলাদেশি অধ্যাপক সৈয়দ আহমেদ জামালকে। আপিলে হেরে যাওয়ার পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্দেশে গত মঙ্গলবার তাকে বিমানে উঠানো হয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে তিনি বোর্ড অব ইমিগ্রেশনের স্থগিতাদেশ পান।

স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন সৈয়দ আহমেদ জামালের অ্যাটর্নি রেখা শর্মা। তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট)-এর শতভাগ বিচক্ষণতা আছে এবং আমরা আশা করি, তারা তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবে।’

chardike-ad

বুধবার বিকেলে জামালকে হনুলুলু থেকে কানসাস নেওয়া হয়। এই অধ্যাপকের ভাই জানান, এই ঘটনায় তার স্ত্রী-সন্তানদের একটা অভিঘাত ও মানসিক যন্ত্রণায় জর্জরিত অবস্থায় দেখা গেছে।

এই অধ্যাপকের অ্যাটর্নি জানান, বোর্ড অব ইমিগ্রেশনের চূড়ান্ত রুলিং পেতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সে পর্যন্ত তাকে বন্দি করে রাখাটা হবে নিছক করদাতাদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থের অপচয়।

তিনি বলেন, এই অধ্যাপকের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে। তার বৈধ ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে। পর্যবেক্ষণের আদেশ অনুযায়ী গত ছয় বছর ধরে তিনি আইসিইতে রিপোর্ট করছেন। তিনি বিচার বা জামিনের শুনানির আগে পালিয়ে যাওয়ার মতো ব্যক্তি নন।

সৌজন্যে- কালের কণ্ঠ