দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় আয়োজিত গণঅনশনে মোনাজাত করার সময় কাঁদতে কাঁদতে হঠাৎ করেই ঢলে পড়লেন মাওলানা। পরে দ্রুত তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাতেই মারা যান তিনি।
মাওলানা কাজল মিয়া (৪০) বাহুবল উপজেলা সদরের উত্তর হামিদনগর আবাসিক এলাকার আবদুস ছমদের ছেলে। তিনি সাতকাপন ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি।
বাহুবল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমাম উদ্দিন সরকার বলেন, খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাহুবল উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে অনশন করেন নেতাকর্মীরা।
অনশন শেষে মাগরিবের আজানের আগে দোয়ার আয়োজন করা হয়। সেখানে আবেগঘন মোনাজাত করেন যুবদল নেতা মাওলানা কাজল মিয়া। একপর্যায়ে অঝোর ধারায় কাঁদতে কাঁদতে তিনি পড়ে যান।
বাহুবল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকদ্দস মিয়া বাবুল জানান, সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা দ্রুত কাজল মিয়াকে প্রথমে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
কাজল মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মাওলানা কাজল মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া, বাহুবল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরী।