উত্তর কোরীয় নেতার বোন কিম ইয়ো জং দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে শীতকালীন অলিম্পিকে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার পর থেকে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন দুই কোরিয়ার একত্রীকরণপন্থীরা। ১৯৫৩ সালে কোরিয়া যুদ্ধের পর দেশ দুটি আলাদা হয়ে গেলেও দু দেশেই অনেকের স্বজন রয়ে যাওয়ায় তারা চান আবারও একত্র হোক দেশ।
শীতকালীন অলিম্পিককে কেন্দ্র করে আশার আলো দেখছে উত্তরের বন্ধু রাষ্ট্র চীনও। যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তাতে করে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজন নিরসনে সরাসরি আলোচনার সুযোগ তৈরি করেছে বলেও মনে করে দেশটি।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, ‘চীন বিশ্বাস করে কোরীয় উপদ্বীপের সংকট আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। শীতকালীন অলিম্পিককে ঘিরে দু’দেশের মধ্যে যে হৃদ্যতা দেখা গেছে তার ধারাবাহিকতা রাখতে হবে যাতে দুদেশের মধ্যে আলোচনা হয়। উত্তর কোরিয়ার ওপর কেবল নিষেধাজ্ঞা আর চাপ প্রয়োগ করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। দু’পক্ষকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সমর্থন দিতে হবে যাতে করে ইতিবাচক কোন পরিবর্তন আসে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বাস করছে না উত্তর কোরিয়াকে। দেশটির পরমাণু কর্মসুচি আরও জোরদার করা হচ্ছে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির শুনানিতে তেমন মন্তব্যই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ড্যান কোটস।
তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ভয়াবহ হুমকি। উত্তর কোরীয় নেতাও মনে করেন তার ক্ষমতায় টিকে থাকা না থাকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রও হুমকি। সুতরাং যে সমস্যা দেখা দিয়েছে দু’দেশের মধ্যে তা সহজ নয়।’
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে গত এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। দু’দেশের নেতাই হামলা পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছে। তবে শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের দক্ষিণ কোরিয়া সফরকে ঘিরে একটা উষ্ণ পরিবেশ তৈরি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা এখন অনেকটাই কম দেখা যাচ্ছে।
সৌজন্যে- সময় নিউজ