শীতকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ইরানি ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ‘কিম সুংহো’-কে মন্ত্রণালয়ে ডেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছে এই সিদ্ধান্ত অলিম্পিক গেমসের নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনার স্লোগানের পরিপন্থী বলেও তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে, অন্যথায় তা স্যামসাং কোম্পানির সঙ্গে ইসলামি ইরানের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে।
স্যামসাং কোম্পানির বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্যামসং ইলেকট্রনিক্স আসন্ন অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী সব ক্রীড়াবিদ ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কর্মকর্তাদের সরবরাহ করার জন্য প্রায় ৪,০০০ ‘গ্যালাক্সি নোট ৮’ ফোন প্রস্তুত রেখেছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ২২ এবং ইরানের চার ক্রীড়াবিদকে এই সুবিধার বাইরে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা দাবি করছেন, সামরিক কাজে স্মার্টফোন ব্যবহারের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই ইরান ও উত্তর কোরিয়ার কাছে এ ধরনের পণ্য সরবরাহে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ সিদ্ধান্ত ইরানে প্রচণ্ড ক্ষোভ তৈরি করেছে। কারণ, স্যামসং ইলেকট্রনিক্সের বিশাল বাজার রয়েছে ইরানে। যে স্মার্টফোন সামরিক কাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে তা ইরানে অবস্থিত স্যামসং কোম্পানির হাজার হাজার শোরুমে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। ইরানে স্যামসংয়ের আনুষ্ঠানিক দপ্তর রয়েছে এবং তারা গ্রাহককে বিক্রয়োত্তর সেবাও প্রদান করে থাকে।