শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে দুর্দান্ত প্রথম দিন কাটানোর পর দ্বিতীয় দিন সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫১৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দিনের শুরু থেকেই অসাধারণ ব্যাট করা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ হাফসেঞ্চুরি তুলে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে দলীয় ৫’শ রান এনে দিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখেন।
১৩৪ বলে সাতটি চার ও দুটি ছক্কায় ৮৩ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান সুরাঙ্গা লাকমালের তৃতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফেরেন।
আগের দিন ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকা মুমিনুল হক দ্বিতীয় দিন নিজেকে অবশ্য ছাড়িয়ে যেতে পারেননি। রঙ্গনা হেরাথের বলে ১৭৬ রান করে মেন্ডিসকে ক্যাচ দেন। ২১৪ বলে ১৬টি চার ও এ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। মুমিনুলের আগের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের স্কোর ছিল ১৮১। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ মাঠেই নিজের সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেছিলেন।
মুমিনুলের পর হেরাথের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেন। ব্যক্তিগত ৮ রানে তুলে মারতে গিয়ে সান্দাকানের তালুবন্দী হন তিনি। দলীয় ৪১৭ রানে রান আউটের শিকার হন মেহেদি হাসান মিরাজ। ১৯ বলে একটি চার ও একটি ছক্কায় ২০ রান করেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ ও সানজামুল ইসলাম মিলে অষ্টম উইকেট জুটিতে ৫০ রান যোগ করেন। ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফসেঞ্চুরির দেখা পান মাহমুদউল্লাহ। সান্দাকানের বলে স্টাম্পিং হয়ে ২৪ রানে ফেরেন সানজামুল ইসলাম। পরের ওভারেই হেরাথের তৃতীয় শিকার হন তাইজুল ইসলাম (১)।
এর আগে প্রথম দিন টাইগাররা টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অসাধারণ শুরু করে। দিন শেষে ওভার প্রতি ৪.১৫ গড়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৭৪ রান তোলে স্বাগতিক দলটি। হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল (৫২)। আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস করেন ৪০।
তবে শেষ বিকেলের আফসোস হয়েছে মুশফিকুর রহিমের উইকেট। মুমিনুলের সঙ্গে দেশের হয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিতে রেকর্ড ২৩৬ রানের পার্টনাশিপ গড়ে শেষ পর্যন্ত ৯২ রানে বিদায় নেন। এরপরেই শূন্য রানে বিদায় নেন লিটন দাশ। মুমিনুল ১৭৫ ও মাহমুদউল্লাহ ৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সফল ছিলেন ২ উইকেট নেওয়া পেসার সুরাঙ্গা লাকমাল। একটি করে উইকেট দখল করেন দিলরুয়ান পেরেরা ও লাকসান সান্দাকান।