পুঁজিটা খুব বড় ছিল না, মাত্র ২১৬ রানের। তবে ছোট পুঁজিতেও বড় জয়ই তুলে নিলো বাংলাদেশ। মাশরাফি-সাকিবদের বোলিং তোপে জিম্বাবুয়ে যে গুটিয়ে গেলো ১২৫ রানেই। আগেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলা টাইগাররা ম্যাচটা জিতেছে ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে।
শুরুটা করেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, মাঝে সাকিব আল হাসানের জোড়া আঘাত। এরপর আবারও দৃশ্যপটে মাশরাফি। পেস আর স্পিনের এই যুগলবন্দীতে মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আগেভাগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
ছোট পুঁজি নিয়ে বল হাতে শুরুটা দুর্দান্ত হওয়ার দরকার ছিল বাংলাদেশের। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা সেই শুরুটাই দিয়েছেন। জিম্বাবুয়ে ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে ১৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন তিনি।
মাশরাফির সুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন মাসাকাদজা। সাব্বির রহমান ভুল করেননি, দারুণভাবে ক্যাচটা তালুবন্দী করে নেন তিনি। ১৫ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হয়েছেন মাসাকাদজা।
এরপর সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি জাদুর সামনে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ দুই বলে সলোমন মিরে আর ব্রেন্ডন টেলরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। ৭ রান করে মিরে হয়েছেন বোল্ড। রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লিউ ব্রেন্ডন টেলর। পরের ওভারের প্রথম বলটাও একটুর জন্য ব্যাটে লাগেনি ক্রেইগ আরভিনের, হ্যাটট্রিকটাও তাই হয়নি।
বিপদে পড়া জিম্বাবুয়েকে এরপর আরও চাপে ফেলেছেন মাশরাফি। ম্যাচে তার দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরের পথে হেঁটেছেন ১১ রান করা আরভিন। এবারও স্লিপে ক্যাচ, ফিল্ডার সেই সাব্বির রহমান।
সিকান্দার রাজা আর পিটার মুরের ৩৪ রানের জুটিটা প্রায় থিতু হয়ে গিয়েছিল। এই জুটিটি ভেঙে দেন সানজামুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে ১৪ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মুর। ওই ওভারেই পরের বলে একই পরিণতি ম্যালকম ওয়ালারের। সানজামুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে তিনি ফিরেছেন শুন্য রানে।
এরপর উইকেটের দেখা পেয়েছেন রুবেল হোসেন আর মোস্তাফিজুর রহমানও। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারকে ২৩ রানে এলবিডব্লিউ করেছেন রুবেল। আর টানা ৩ ওভার মেডেন করা মোস্তাফিজ আউট করেছেন সফরকারি দলের হয়ে সবচেয়ে বড় লড়াই করা সিকান্দার রাজাকে। ৩৯ রান করে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
সাকিব আল হাসান ৩টি আর মোস্তাফিজুর রহমান, সানজামুল ইসলাম আর মাশরাফি বিন মর্তুজা নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। একটি উইকেট রুবেল হোসেনের।
এর আগে, তামিম ইকবাল (৭৬) আর সাকিব আল হাসানের (৫১) জোড়া হাফসেঞ্চুরির পরও ৯ উইকেটে ২১৬ রানের বেশি এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। পরের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন কেবল আসা যাওয়ার মধ্যে। তবে শেষ সময়ে মোস্তাফিজের হার না মানা ১৮ আর সানজামুলের ১৯ রান দুইশ পার করে দিয়েছে টাইগারদের।