আগের দুই ম্যাচে ছোট দুই দল নামিবিয়া আর কানাডাকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এবার ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়িয়ে তারাই হয়ে গেল ‘ছোট দল’। নিউজিল্যান্ডের কুইন্সটাউনে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচে জুনিয়র টাইগারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে ইংলিশরা। ম্যাচটি তারা জিতেছে ৭ উইকেট আর ১২৩ বল হাতে রেখে।
টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয়াই যেন কাল হয়েছে বাংলাদেশের। ইংলিশ বোলারদের তোপে এক আফিফ হোসেন ছাড়া বলার মতো রান করতে পারেননি দলের কেউ। ৮৫ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬৩ রানের এক ইনিংস খেলেন আফিফ।
ইংল্যান্ডের যুবাদের সামনে শুরু থেকেই অসহায় দেখিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ২৭ রানের মধ্যে চার নাম্বার ব্যাটসম্যানকেও হারিয়ে বড় সংগ্রহ গড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় জুনিয়র টাইগারদের।
পিনাক ঘোষ (৪), সাইফ হাসান (১), মোহাম্মদ নাইমের (১) পর মাত্র ১২ রান করে আউট হয়েছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তৌহিদ হৃদয়ও। পঞ্চম উইকেটে অবশ্য আফিফ আর আমিনুল ইসলামের ৯৪ রানের জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ৩১ রান করে আমিনুল আউট হওয়ার এক বল পর সেট ব্যাটসম্যান আফিফও ফিরলে থমকে দাঁড়ায় টাইগারদের ইনিংস।
এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্গন (২৩) আর হাসান মাহমুদের (২০) ছোট দুটি ইনিংসে কোনোমতে পৌনে দুইশ পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে তারা অলআউট হয়েছে ১৭৫ রানে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে বিপদে পড়েছিল ইংল্যান্ডও। ১৯ রানের মধ্যে কাজী অনিক আর হাসান মাহমুদ তাদের দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় আরও একটি উইকেট তুলে নেন নাইম হাসান। তখনও বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা ছিল।
কিন্তু হ্যারি ব্রুকসের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি সব আশা-ভরসা শেষ করে দিয়েছে টাইগার যুবাদের। এরপর আর কোনো উইকেট ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ৮৪ বলে ১৩ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ১০২ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন ব্রুস। তার সঙ্গে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ইউয়ন উডস।