যাওয়ার আগে বারবার শিরোপা জয়ের কথা বললেও নিজ দলের প্রকৃত শক্তি ও সামর্থ্য সম্পর্কে হয়তো স্বচ্ছ ধারণা নেই কিংবা ছিল না বাংলাদেশ অধিনায়ক সাইফ হাসানের। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ মিশনের শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে এবার নিজেদের শক্তিমত্তাটা একটু হলেও আঁচ করতে পারলেন তিনি।
সোমবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল আফগানিস্তানের কাছে ৫৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশের যুবারা। মূল আসরে যাওয়ার আগে এই হার সাইফ হাসানদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই নাড়িয়ে দিয়েছে, সন্দেহ নেই।
বোলিং অতটা খারাপ হয়নি। আফগানিস্তানকে ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতেই ২০৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল যুবারা। একটা সময় তো আফগানদের রীতিমত বিপদে রেখেছিলেন টাইগার বোলাররা। ১১২ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা। কিন্তু আসমাতউল্লাহ উমরজাই সেখান থেকে বলতে গেলে একাই টেনে নিয়ে যান দলকে। ৮১ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল পেসার হাসান মাহমুদ, ৪৬ রানে তিনি নিয়েছেন ৪টি উইকেট। অফস্পিনার রবিউল হক ৩টি, বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার টিপু সুলতান নেন ২টি উইকেট। বাকি একটি উইকেট পেসার কাজী অনিকের।
২০৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পিনাক ঘোষ আর সাইফ হাসান দারুণ ব্যাটিং করলেও বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ দশের কোটাও পেরুতে পারেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন পিনাক ঘোষ। ৫৬ বলের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। ৭৪ বলে ৪৩ রান করেন অধিনায়ক সাইফ।
শুরুটা ভালো হলেও পরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। ৪৪ রানের মধ্যে শেষ ৮টি উইকেট হারিয়ে ৪১.৪ ওভারেই সাইফ হাসানের দল গুটিয়ে যায় ১৫০ রানে। ৩টি করে উইকেট নিয়ে টাইগারদের আসল সর্বনাশটা করেন আফগানিস্তানের নাভিন উল হক আর কায়েস আহমেদ।
এর আগে ঘরের মাঠেও আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ যুব দল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাইপলাইন যে দুর্বল হয়ে গেছে, প্রস্তুতি ম্যাচের এই হার আরও একবার সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো।
আগামী ১৩ জানুয়ারি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মূল আসরে লিংকনের বার্ট সাটক্লিফ ওভালে নামিবিয়ার মোকাবেলা করবে বাংলাদেশের যুবারা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩.৩০ মিনিটে।