ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে মরিয়া পিসিবি। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দল পাকিস্তান সফর করেছে। এবার ইমার্জিং এশিয়া কাপ ক্রিকেট দিয়ে এশিয়ার সব শীর্ষ দলগুলোকে পাকিস্তান নেওয়ার আশায় ছিল দেশটি। তবে সেই আশায় গুড়েবালি। ভারত আগে থেকেই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে পাকিস্তানে কোনো রকম ক্রিকেট খেলার বিপক্ষে। আর এবার নিরাপত্তার কারণে বেঁকে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এমনটা জানিয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকা দ্য ডন। যদিও, বিসিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
ডন জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারত ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ পরিবর্তনের জন্য আইসিসি বরাবরও চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদিও এখনো পাকিস্তানের কাছ থেকে আয়োজক স্বত্ব কেড়ে নেওয়া হয়নি। তবে এশিয়ার বড় দুই দেশের বিরোধিতায় আপাতত এই টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।
গেল অক্টোবরে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট আয়োজনের দায়িত্ব পায় পিসিবি। তবে দুবাইয়ে এসিসির বোর্ড সভায় বিসিবি ও বিসিআইয়ের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত হননি। এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে পিসিবির এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেন, ‘২৯ অক্টোবর পাকিস্তানকে এসিসির বৈঠকে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্বত্ব দেওয়া হয়। তবে সেখানে ভারত ও বাংলাদেশের কেউ উপস্থিত হননি।’
এদিকে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) অবশ্য এই টুর্নামেন্ট নিয়ে কোনো রকম আপত্তি জানায়নি। আর ক’দিন আগেই পাকিস্তানের লাহোরে জাতীয় দল পাঠানোয় বোঝা যাচ্ছে পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরানোয় সংস্থাটি তাদের পাশেই আছে। এমন অবস্থায় পাকিস্তানও হাল ছাড়বে না জানিয়ে পিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে আসরটি পাকিস্তানের মাটিতে আয়োজন করতে চাই আমরা। এশিয়ান ইমার্জিং নেশন্স কাপ আয়োজনের জন্য আমরা নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে যথাসম্ভব সব রকম চেষ্টাই করব।’