ইসরায়েলি এক সেনাকে চড় মারার অপরাধে এক ফিলিস্তিনি কিশোরীর সাজা আরও ১০ দিন বাড়িয়েছে ইসরায়েলের একটি আদালত। মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর বুধবার আহমেদ আল তামিমি নামের ওই কিশোরীর সাজা বাড়ানো হয়।
একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করেই তামিমিকে আটক করা হয়। তাকে ওই ভিডিওতে পশ্চিম তীরের আল নাবি সালেহ নামের একটি ছোট গ্রামে দুই ইসরায়েলি সেনার মুখোমুখি হতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলি আদালতে ১৭ বছর বয়সী ওই ফিলিস্তিনি কিশোরীর সাজা ঘোষণা করা হয়। বুধবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নুর নাজি আল তামিমি (২১) নামে ওই কিশোরীর এক আত্মীয়কেও আটক করে।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া আহমেদ আল তামিমির ওই ভিডিওতে নুর নাজিকেও দেখা গেছে। ভিডিওতে ইসরায়েলি সেনাদের চড়, লাথি, আঘাত করতে দেখা গেছে আল তামিমিকে।
মঙ্গলবার ভোরে ওই ফিলিস্তিনি কিশোরীর বাড়িতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আল তামিমির ব্যক্তিগত ল্যাপটপ, মোবাইল এবং বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক জিনিস জব্দ করা হয়। অভিযানের সময় তামিমির পরিবারের লোকজনকে সেনারা মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তামিমির মাকেও আটক করেছে সেনারা।
চলতি মাসের ১৫ তারিখে তামিমের বাড়ির সামনে থেকে ওই ভিডিওটি ধারণ করা হয়। তবে সেখানে সেনাদের বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি দেখানো হয়নি।
ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেন্নেত মঙ্গলবার আর্মি রেডিওতে এক ঘোষণায় বলেন, অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডে জড়িত দুই ফিলিস্তিনি কিশোরীকে জেলেই পচে মরতে হবে।
সৌজন্যে: জাগোনিউজ