অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে অধিনায়ক স্মিথ ও মার্শের ব্যাটে বড় লিডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশদের ৪০৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ধরে খেলতে থাকেন অস্ট্রেলিয়া। তারপরও দলীয় ২৪৮ রানে ৪ উইকেট হারালে মার্শকে সঙ্গে নিয়ে উইকেটে খুঁটি গাড়েন অধিনায়ক স্মিথ। নিজে করেন ডাবল সেঞ্চুরি আর সঙ্গী মার্শ করেন সেঞ্চুরি। তারা দুই জনই অপরাজিত আছেন। তাদের দুই জনের ব্যাটে ভর করে অস্ট্রেলিয়ার দলীয় সংগ্রহ ৫৪৯ রান হতেই তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়ে গেছে। ফলে ১৪৬ রানের লিড পেয়েছে স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৪০৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যক্তিগত ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেরার ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর নিজের ২৫ রানের মাথায় আরেক ওপেনার ক্যামেরন বেনক্রাফটও ফিরে যান। আর ৫০ রানের মাথায় ফিরে যান উসমান খাজা।
আর অজি অধিনায়ক স্মিথকে সঙ্গ দিতে আসা শাওন মার্শ ব্যক্তিগত ২৮ রান এবং দলীয় ২৪৮ রানে ফেরেন। এরপর স্মিথকে সঙ্গ দিতে আসেন মিশেল মার্শ। তাকে সঙ্গে নিয়ে ধরে খেলতে থাকেন স্মিথ। তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে নিজের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করেন তিনি। আর মার্শও ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। তাদের অসীম ধৈর্যে দলীয় সংগ্রহ ৫৪৯ রানে পৌঁছেছে অস্ট্রেলিয়া। ২২৯ রানে স্মিথ এবং ১৮১ রানে মার্শ অপরাজিত আছেন। আগামীকাল একই সময় আবারও ব্যাটিংয়ে নামবেন তারা
অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করার দিনে টানা চতুর্থবারের মতো এক বর্ষপঞ্জিকায় এক হাজার রানের কীর্তি গড়েছেন স্মিথ। চলতি বছরের আগে ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালেও স্মিথ হাজার রান করেছিলেন।
ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টানা ৪ বছর হাজার রান তোলার রেকর্ড গড়েছেন স্মিথ। হেইডেন ২০০১-০৫ টানা ৫ বছর এক বর্ষপঞ্জিকায় হাজার রান করেছিলেন। স্মিথের ডাবল সেঞ্চুরির দিনে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মিশেল মার্শ।
এর আগে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে পার্থে মালান-বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৪০৩ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। ডেভিড মালান ১৪০ ও বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে আসে ১১৯ রান।