পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বিদেশের মাটিতে আপনার নগরিকত্বের প্রমাণ এই পাসপোর্ট। এর ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা হবে আপনি বৈধ, না অবৈধ। তাই নিজের প্রয়োজনেই নিজের ও আপনজনের নিকট পাসপোর্টের ফটোকপি সংরক্ষণ করে রাখা উচিৎ। কিন্তু অতিগুরুত্বপূর্ণ এই জিনিসটিই যদি হারিয়ে বসেন, তাহলে উপায়?
বিদেশে পাসপোর্ট হারালে করণীয়
বিদেশে পাসপোর্ট হারানো গেলে দ্রুত ওই দেশের পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে কিংবা পাসপোর্টটি যে থানা এলাকায় হারিয়ে গেছে সেই থানায় পাসপোর্ট হারানোর সাধারণ ডাইরি করতে হবে। অন্যথায়, সঠিক প্রমাণাদির অভাবে আপনার কারাগারেও যেতে হতে পারে!
এরপরপরই দ্রুত আপনাকে বাংলাদেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। পাসপোর্টের ফটোকপি ও রোডপাস বা রাস্তায় চলাচলের প্রত্যয়নপত্র (যদি থাকে) নিয়ে যোগাযোগ করলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে আপনাকে নতুন পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তা করা হবে।
কোনো ট্র্যাভেল এজেন্সি যদি আপনার ভ্রমণে সহায়তা করে থাকে তবে তারাই আপনাকে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায়তা করবে। এরপর আপনাকে সহায়তা করবে বাংলাদেশ হাই কমিশন। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস ও ইমিগ্রেশন আপনার সব তথ্য পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ হাই কমিশনকে একটি পত্র বা প্রতিবেদন পাঠাবে। এই পত্র বা প্রতিবেদনই আপনাকে ভালোভাবে দেশে ফিরে আসতে সহায়তা করবে।
দেশে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে যা করবেন
প্রথমেই পাসপোর্টটি যে থানা এলাকায় হারিয়ে গেছে সেই থানায় পাসপোর্ট হারানোর সাধারণ ডায়েরি করতে হবে। পাসপোর্টে যদি কোনো দেশের মেয়াদ আলা ভিসা লাগানো থাকে তবে সেই বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করতে হবে।
কোনো ব্যক্তির পাসপোর্ট হারানো বা চুরি হলে থানায় সাধারণ ডায়েরি বা মামলা রুজুর পর পুলিশ ইমিগ্রেশন ডাটাবেজে পাসপোর্টটি কালো তালিকাভূক্ত করবে যাতে উক্ত পাসপোর্ট ব্যবহার করে অন্য কেউ বিদেশ গমন করতে না পারে।
হারানো বা চুরি হওয়া পাসপোর্ট পাওয়া গেলে একইভাবে ইমিগ্রেশন ডাটাবেজের কালো তালিকা হতে পাসপোর্টটি প্রত্যাহারের নিমিত্তে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করতে হবে। আর পাওয়া না গেলে সাধারণ ডায়েরির কপিসহ পুনরায় আবেদন করলে পাসপোর্ট অফিস আপনাকে নতুন একটি পাসপোর্ট দিবে।