Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ছয় বছরেরও বেশি সময় পর সুদের হার বাড়িয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শক্তিশালী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কারণেই সুদের হার বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংক অব কোরিয়া (বিওকে)। এশিয়ার অন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও এ পথে হাঁটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  চাহিদা, রফতানি সব খাতেই ভালো খবর পাচ্ছে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি। যার পরিপ্রেক্ষিতে কিছুদিন আগেই বিওকে ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) দেশটির প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস বাড়িয়ে দিয়েছে। অর্থনীতির এ শক্তিশালী অবস্থায় সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করেছে বিওকে।

chardike-ad

দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর লি জু-ইউল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সুদের হার আরেক দফা বাড়ানোর বিবেচনায় প্রবৃদ্ধি প্রবাহ ও মূল্যস্ফীতি পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’

ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনায় এশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও তা অনুসরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এশিয়ার ব্যাংকগুলো আশঙ্কা করছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেড সুদের হার বৃদ্ধি করলে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো থেকে নগদ অর্থ বেরিয়ে যাওয়ার হিড়িক পড়বে। কারণ বিনিয়োগকারীরা সাধারণত তাদের লগ্নিকৃত অর্থের সবচেয়ে ভালো ও নিরাপদ রিটার্ন প্রত্যাশা করে। গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি তিন দফা সুদের হার বাড়িয়েছে। ২০১৮ সালের মুদ্রানীতিতে কঠোর অবস্থা বজায় রাখার পরিকল্পনা করছে দেশটি।

গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৩ শতাংশে উন্নীত করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিওকের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, রফতানি বৃদ্ধির সুবাদে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এ গতি অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে ‘অর্থনীতির শক্তিশালী’ গতির উল্লেখ করে আইএমএফও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ৩ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত করেছে। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ ক্রিস্টাল তান বলেন, ‘দেশটির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি আউটলুকের অর্থ— আগামী বছরও এখানে সুদের হার বাড়তে পারে।’ সহায়ক আর্থিক নীতিমালা, সর্বনিম্ন মজুরি বৃদ্ধি ও চীনের সঙ্গে পর্যটন আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠায় অর্থনীতির সুসময় অব্যাহত থাকবে।