সারা বিশ্বের তোয়াক্কা না করে আবারও শক্তিশালী ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। কিম জংয়ের দেশ থেকে তা গিযে আছড়ে পড়েছে জাপান সীমান্তে।
যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে কোরিয়ান উপদ্বীপ এলাকায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র এবার নিশানা করতে পারে আমেরিকাকেও। পিয়ংইয়ংয়ের নিশানায় রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি। এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরের পর ফের দুই মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম থেকেই এই ঘটনার বিরোধিতা করে এসেছেন। কিম জং উনকে সন্ত্রাসের মদতদাতা বলে চিহ্নিত করেছেন। পাল্টা জবাব দিয়েছেন কিমও।
ঘটনা হল, কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার শাসক হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে অন্তত একডজন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। এবং পুরোটাই করা হয়েছে জাতিসংঘের বিরোধিতার মধ্যে। নতুন যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হয়েছে তা ৪৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে ৯৬০ কিলোমিটার দূরত্বে জাপান সীমান্তে গিয়ে পড়েছে।
এই ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসনের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কথা হয়েছে। ডিসেম্বরেই দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কোরিয় উপদ্বীপ এলাকায় সেনার যৌথ মহড়া করবে। এদিকে জাপানও তাদের সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই ঘটনার সঠিক সময়ে জবাব দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সারা পৃথিবীর তথা জাতিসংঘের কড়া বিরোধ ও নিয়মবিধির মধ্যে কীভাবে উত্তর কোরিয়া বারবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিরাপত্তা পরিষদেও আগামী দিনে কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে তুমুল আলোচনা হতে পারে। তবে ঘটনা হল কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কোরিয়ার বিরুদ্ধে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।