জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সদস্য স্কুল শিক্ষকের বউকে নিয়ে পালিয়ে যাবার অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল সোমবার সকালে জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুরী পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

chardike-ad

জানা গেছে, মেষ্টা ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুরী পাড়া গ্রামের মৃত শাহজাহান মন্ডলের ছেলে মোঃ আব্বাস মাষ্টারের সাথে প্রায় ৩ বছর আগে একই ইউনিয়রে মেষ্টা ডুলোবাড়ী এলাকার মৃত কাজী শফিকুল ইসলামের মেয়ে শাওনের সাথে বিয়ে হয়।

অপর দিকে শাওনের সাথে ভাদুরী পাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে নাজমুলের অবৈধ সম্পর্ক চলতে থাকে। বিয়ের পরে শাওনের স্বামী আব্বাস মাষ্টার বিষয়টি জানার পর হতে শাওনকে নানা ভাবে এড়িয়ে চলতে থাকে এবং সাবধান করে দেয়। নাজমুল জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হওয়ায় বার বার শাওনের সাথে ক্ষমতার জোরে কথা বার্তা বলতে থাকে। শাওন জামালপুর সরকারী জাহেদা শফির মহিলা কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্রী। ঘটনার দিন সকালে শাওন তার পরীক্ষার ফরম পুরনের জন্য টাকা পয়সা নিয়ে কলেজে আসার পর নাজমুলের সাথে পালিয়ে যায়। এর পর হতে উভয়ের মুঠোফোনটি বন্ধ রয়েছে।

শাওনের স্বামী আব্বাস মাষ্টার বেলটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক। তিনি জানান, তার স্ত্রী পালিয়ে যাবার পর তিনি শাওনের বাড়িতে জানিয়েছেন। তাছাড়া জেলা ছাত্র লীগের সদস্য নাজমুল ইসলামের সাথে পালানোর বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন।
নাজমুলের মা জানান, গতকাল তার ব্যবহিত মোটরসাইকেলটি বিক্রি করেছে। ঢাকা যাবার কথা বলে বাড়ী থেকে বেডিং পত্র নিয়ে গেছে। এর পর আমরা এ ঘটনাটি শুনতে পারি।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিহাদুল আলম নিহাদ বলেন, মেষ্টা ইউনিয়নের জেলা ছাত্রলীগের সদস্য নাজমুলের বিষটি আমরা জেনেছি। সত্যতা পেলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।

এ ঘটনায় আব্বাস মাষ্টার থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে বলে জানিয়েছেন।