Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শুরু হয়ে গেছে টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ লড়াই অ্যাশেজ। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি শুরু হয়েছে আজ (বৃহস্পতিবার) ব্রিসবেনের গ্যাবায়।

chardike-ad

পরিসংখ্যান ছাড়িয়েও ১৩৫ বছরের পুরনো অ্যাশেজ হয়ে উঠেছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বের কাছেই এক অন্যতম আকর্ষণ।

কিন্তু কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?

বিবিসির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মিহির বোস বলছেন, টেস্ট হলো “ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরনো খেলা। ক্রিকেট টেস্ট ম্যাচ প্রথম শুরু হয় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। এটা একটা পরিবারের ম্যাচ।”

তিনি বলছিলেন, “অ্যাশেজে ক্রিকেটের বাইরেও অনেক কিছু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার একজন দারুণ ব্যাটসম্যান ছিলেন ডন ব্রাডম্যান। ক্রিকেটের সবচেয়ে ভাল ব্যাটসম্যান। ১৯৩২ সালে ইংল্যান্ড তাকে আউট করার জন্য যে বোলিং অ্যাটাক শুরু করলো যেটাকে বলা হয় ‘বডিলাইন’। অস্ট্রেলিয়া তখন বললো ওরা [ইংল্যান্ড] ক্রিকেট খেলছে না, তারা শুধু বল নিয়ে মারতে চেষ্টা করছে।”

“সিচুয়েশন [অবস্থা] এমন খারাপ করে দিল অনেকে ভাবলো (ক্রিকেট সিরিজটি) পলিটিক্যাল রিলেশন [রাজনৈতিক সম্পর্ক] নষ্ট করে দিবে,” বলছিলেন মি. বোস।
অ্যাশেজ এখন অনেক মিডিয়া কভারেজ পায়।

ম্যাচের আগে অনেক কিছু লেখা হয়। খেলার আগে অনেক খেলোয়াড়ের ইন্টারভিউ হয়, যেখানে তাঁরা প্রতিপক্ষের ওপর এক ধরণের চাপ তৈরি করার চেষ্টা করেন।
মি. বোস বলছেন, “অস্ট্রেলিয়ান প্লেয়াররা এটা বেশি করে। এটাকে সাইকোলজিক্যাল ট্রিকস বলে। এমনভাবে কথা বলে যাতে অপজিশন প্লেয়াররা ঘাবড়ে যাবে।”

গুরু-শিষ্যের লড়াই?
ক্রিকেট খেলার প্রচলন শুরু হয় ইংল্যান্ডে। আর টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে।

১৮৮২ সালে মেলবোর্নে শুরু হয় এই দ্বৈরথের।

এখন পর্যন্ত দু’দেশ মোট ৩২৫টি ম্যাচ খেলেছে। তাতে ১৩০টিতে জয় অস্ট্রেলিয়ার। ১০৬টি তে জিতেছে ইংল্যান্ড। আর ৮৯টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

দুই বছর আগের সর্বশেষ অ্যাশেজ জিতেছিল ইংল্যান্ড।

মিহির বোস বলছেন, ”ইংল্যান্ড দেখাতে চায় তারা ক্রিকেটকে আবিষ্কার করেছে। আর অস্ট্রেলিয়া ছিল তাদের ছাত্র। তাই তারা [ইংল্যান্ড] পছন্দ করে না ছাত্র তার গুরুকে মারুক।”