আজ দক্ষিণ কোরিয়া ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫২৭ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কোরিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে ১১৮০টি সেন্টারে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে পরীক্ষা শুরু হয়। ৯ ঘন্টা ব্যাপী এই পরীক্ষা শেষ হয় ৫টা ৪০ মিনিটে।
‘কলেজ স্কলাস্টিক এবিলিটি টেস্ট’ নামের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির এই একক পরীক্ষায় ৫টি বিষয়ের উপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচটি বিষয় হলো কোরিয়ান ভাষা, গণিত, ইংরেজি, সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং অন্য একটি বিদেশী ভাষা (শিক্ষার্থীর পছন্দ অনুযায়ী)। কোরিয়ার বৃহৎ এই পরীক্ষা উপলক্ষ্যে সকালে সাবওয়েতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা এই পরীক্ষাকে জীবন মরণ পরীক্ষা হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যত ক্যারিয়ার নির্ধারণ হয় বলে শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, কোরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বাংলাদেশের মত বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আলাদাভাবে নেওয়া হয় না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কাউন্সিলের মাধ্যমে একক ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী বাছাই করে থাকে।