গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামার কয়েক ঘণ্টা আগে হুট করে এ ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে বসেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বিসিবি বা টিম ম্যানেজমেন্টের কোনো প্রভাব ছিল তা মুখ ফুটে কখনও বলেনি মাশরাফি। তবে ধারণা করা হয়ে থাকে, কোচের চাওয়াতেই অবসরের ঘোষণা দিতে হয়েছিল বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ককে।
ওই সময় মনে করা হয়েছিল, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে মাশরাফিকে অধিনায়কত্ব ছাড়তে বলেছিলেন চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। কিন্তু, ব্যাপারটা আসলে তা নয়। ভিতরের খবর হলো, শুধু অধিনায়কত্ব নয়, টি-টায়েন্টি ফরম্যাট থেকেই মাশরাফিকে সড়ে পড়তে বলা হয়েছিল। বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদের সমর্থন নিয়েই ওই কাজ করেছিলেন হাথুরুসিংহে।
ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতে সেভাবে ভালো করতে না পারলেও মাশরাফির নেতৃত্ব বা দলে তার অবদান নিয়ে ক্রিকেট বোদ্ধাদের কোনো প্রশ্ন ছিল না। অধিনায়কত্বের বিষয়টা বাদ দিলেও অলরাউন্ডার হিসেবে দলে মাশরাফির গুরুত্ব কম ছিল না। ব্যাট বলের পারফরম্যান্স বিচারে দলে তার যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা ছিল। কিন্তু কী কারণে হাথুরু মাশরাফিকে অবসরে যেতে বলেছিলেন, তা এখনও রহস্য। এটা কী ব্যক্তিগত সম্পর্কের নেতিবাচক ফল?
হাথুরু নেই। নতুন কোচ আসবেন। টি-টায়েন্টিতে মাশরাফির পারফরম্যান্সও চোখে পড়ার মতো। মাশরাফিকে কী আবার ফেরানোর অনুরোধ করা হবে? এই প্রশ্নটাও এখন উঠছে।
তবে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিসিবির পক্ষ থেকে ফিরতে অনুরোধ করা হলেও তাতে রাজি হবেন না মাশরাফি। মানুষ হিসেবে মাশরাফি খুবই ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ। সিদ্ধান্ত যেটা নিয়েছেন তা থেকে সরে আসার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।