শীতের কাঁপুনি ওজন কমায়। কথাটি আষাঢ়ে গল্পের মত শোনালেও সত্যি বচন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য।
মাস্টরিচ বিশ্ববিদ্যালের গবেষক মার্কেন লিচেনবেল্ট ও তার সহকর্মীরা প্রায় ১০ বছর আগে থেকেই মানবদেহে ঠান্ডার কি প্রভাব পড়ে তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন। তারা দেখেন বাইরের থেকে ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা পরিবর্তনশীল, এবং এই তাপমাত্রা শরীরের জন্য উপযোগী। যদিও দীর্ঘমেয়াদি ফলাফলের তারা এখনও অপেক্ষা করছেন।
এই গবেষণার প্রথম গবেষক জানালেন, তারা প্রথমে ভেবেছিলেন যে পরিবেশের তাপ মানব স্বাস্থ্যের উপর কি প্রভাব ফেলে তা পরীক্ষা করার। তারপর তারা দেখেন অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা তাপমাত্রা শরীরের শক্তি বা ক্যালোরির উপর এক গভীর প্রভাব বিস্তারে সক্ষম।
নেদারল্যান্ডের এই টিম আরও দেখেন যে মানুষেরা সাধারণত ঠান্ডা পরিবেশেই থাকতে বেশি অভ্যস্ত। তবে যারা প্রতিদিন অন্তত ৬ ঘণ্টা ঠান্ডা তাপমাত্রায় থাকেন তারা কিন্তু শরীরে মেদের পরিমাণ বাড়াচ্ছেন। কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে তারা নিজেদের মানিয়েনিয়েছেন ফলে তারা ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও কাঁপেননা।
তারা জানান, তরুণ ও মধ্যবয়স্ক মানুষেরা শরীরে উৎপাদিত তাপের মাত্র ৩০ বা তার চেয়ে কিছু শতাংশ বেশি পর্যন্ত গ্রাহ্য করতে পারে। অনেকটা সে কারণেই শীতকালে মানুষের চেহারা বা ওজনের একটি তারতম্য চোখে পড়ে। এই গবেষণাটি সম্প্রতি সেল প্রেসের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।