Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আগামীকাল দক্ষিণ কোরিয়ায় উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্থায়ী শহীদ মিনার। দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি স্থায়ী শহীদ মিনার। বিদেশী নাগরিক অধ্যুষিত শহর আনসানের হোয়ারাং পার্কে স্থায়ী শহীদ মিনারটির উদ্বোধনের মাধ্যমে পূরণ হতে যাচ্ছে সেই স্বপ্নপূরণ। রবিবার বিকাল দুইটায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ এবং সাজসজ্জার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আনসান সিটির সহযোগিতায় দ্রুত গতিতে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। আগামী বছর থেকে বাংলাদেশী প্রবাসীরাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষাপ্রেমীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের সুযোগ পাবেন।

chardike-ad
সাবেক রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম

স্থানীয় বাংলাদেশ প্রবাসীদের দাবিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় শহীদ মিনার তৈরীর প্রথম উদ্যাগ নেন রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম। আনসান সিটি কর্তৃপক্ষ শহীদ মিনার তৈরীর জন্য জায়গা বরাদ্দের জন্য সম্মত হলেও তিনি রাজধানী সিউলে শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য জায়গা খুঁজতে থাকেন। রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম ফ্রান্সে বদলি হয়ে যাওয়ার পর উদ্যোগে ভাটা পড়ে।

পরবর্তীতে ২০১৫ সালে জুলফিকার রহমান দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়াসহ বিভিন্ন সংগঠন শহীদ মিনার তৈরীর আবারো জোরালো দাবি জানিয়ে আসছিল। বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়ার উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরীর পর গত বছর দূতাবাসও অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী করে। বিসিকে সভাপতি হাবিল উদ্দিন স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরীতে যারা অবদান রেখেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন এর মাধ্যমে কোরিয়া প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের একটা দাবি পূরণ হল।

রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ১২ মে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে। ঢাকায় কোরিয়ার কূটনৈতিক মিশন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৫ সালের মার্চে এবং বাংলাদেশ কোরিয়ায় হাইকমিশন স্থাপন করে ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে। এরপর থেকে দুই দেশ একটি শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশী কোরিয়াতে বসবাস করছেন।