অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছেন জিম্বাবুয়ের ‘গৃহবন্দি হওয়া’ প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। সেনাবাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দুই দিনের মাথায় শুক্রবার রাজধানী হারারের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি বক্তৃতা দেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
মুগাবের উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা ও রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে জিম্বাবুয়ের সৈন্যরা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন স্টেশন জেডবিসির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এর পরপরই মুগাবেকে গৃহবন্দি করা হয় বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদ আসে।
শুক্রবার মুগাবের প্রকাশ্য আসার বিষয়টিকে জনগণের সাথে ‘সম্পৃক্ত’ করার প্রক্রিয়া হিসেবে অভিহিত করেছে সেনাবাহিনী। এর আগে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয় প্রেসিডেন্ট মুগাবের সাথে তারা আলোচনা করছেন। শিগগিরই এ ব্যাপারে সবাইকে জানানো হবে।
বিবিসি বলছে, জিম্বাবুয়ে ওপেন ইউনিভার্সিটির ওই অনুষ্ঠানে ৯৩ বছর বয়সী মুগাবের পরনের ছিল সমাবর্তনের নীল-হলুদ গাউন আর হ্যাট। তিনি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় সমবেতরা উলুধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।
যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ১৯৮০ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে জিম্বাবুয়ের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ ছিল মুগাবের হাতে। কিন্তু তার একচ্ছত্র আধিপত্যে থাকা জিম্বাবুয়েতে রাজনৈতিক সংকটের শুরুটা হয় গত সপ্তাহে। স্ত্রী গ্রেসকে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে আনা ও পরে প্রেসিডেন্ট করার পথ সুগম করতে ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন ন্যাংগাগোয়াকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী।
দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল সিবুসিসো ময়ো বলেছিলেন, এটা কোনো অভ্যুত্থান নয়। মুগাবে নিরাপদে আছেন। তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের পর দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন এ সেনা কর্মকর্তা।