দক্ষিণ কোরিয়ার লি পরিবারকে পেছনে ফেলে ২০১৭ সালের ফোর্বস ম্যাগাজিনের এশিয়ার শীর্ষ ৫০ ধনী পরিবারের তালিকার এক নম্বরে উঠে এসেছে ভারতের আম্বানি পরিবার।
এক বছরে ১৯ বিলিয়ন ডলার থেকে তাদের সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। তবে এ পরিমাণ সম্পদ আম্বানি পরিবারের সব সদস্যের হিসাবের ভিত্তিতে করা হয়েছে।
২০১৬ সালে টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি রিলায়েন্স জিও ভারতের ইন্টারনেট গ্রাহকদের জন্য ৪-জি সেবা চালু করে এবং এক বছরে তাদের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ কোটি। তেল ও গ্যাস ব্যবসায় প্রভূত উন্নতি সাধন করলেও সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ খাতে আম্বানি পরিবারের বিনিয়োগ ব্যাপক সফলতা পেয়েছে।
মুকেশ আম্বানির বাবা ধিরুভাই আম্বানি ইয়েমেনে একটি গ্যাস্ট স্টেশনে কাজ করতেন। এরপর মসলা ও সুতার ব্যবসা শুরু করেন। সেখান থেকে ভারতে রিলায়েন্স টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই কোম্পানির বাইমল টেক্সটাইল ব্র্যান্ড ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং এর মাধ্যমেই আম্বানি পরিবারের উত্থান।
২০০২ সালে ধিরুভাই আম্বানি মারা যাওয়ার পর মুকেশ ও অনিল আম্বানির মধ্যে ভাঙন দেখা দেয়। তারা আলাদা হয়ে ব্যবসা শুরু করেন। তবে আম্বানি পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সদস্যরাও কোনো না কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।