সৌদি আরবের সাম্প্রতিক ধরপাকড়কে বর্তমান বাদশার ছেলে মোহাম্মদের (৩২) ক্ষমতায় সুসংসত হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আধুনিক সৌদি আরবের ইতিহাসে ধরপাকড়ের এ ঘটনা নজিরবিহীন। সৌদি কতৃপক্ষ স্বীকার করেছে ৫০০ বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, এ সংখ্যা দ্বিগুনের চেয়েও বেশি।
গ্রেফতার হওয়া ব্যাক্তিদের মধ্যে রাজপরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য আছেন। এছাড়াও আছেন সরকারের বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী এবং ধনকুবের ব্যবসায়ী। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে হঠাৎই এ ধরপাকড় শুরু হয়েছে।
শুধু তাই নয়, আটকদের ওপর চালানো হচ্ছে নিষ্ঠুর নির্যাতন। তবে মুখে আঘাত করা হচ্ছে না। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য বের করতেই এ নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই। তাদের কয়েকজনকে হাসপাতালেও নেয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে আর বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি।
২০১৫ সালে রাজা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুলাজিজ মারা যাওয়ার পর তার সৎভাই সালমান ক্ষমতায় আসেন। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৮১ বছর বয়সী এ রাজার ছেলে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ। ক্রাউন প্রিন্স তার চাচাতো ভাই মোহাম্মদ বিন নায়েফকেও গ্রেফতার করেছেন। সম্পদ জব্দ করেছেন। সাবেক বাদশাহ আব্দুলাজিজের সন্তানদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের সম্পদও জব্দ করা হয়েছে।
অনেকেই বলছেন, বাবা সালমানের আসনে বসার আগে ঘরে বাইরের সব শত্রুকে বিনাশ করতেই ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এ ধরপাকড় চালাচ্ছেন।
সৌজন্যে: বাংলাদেশ প্রতিদিন