Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

mashrafeশুভাশিস রায়ে একটা বল ডিফেন্স করলেন মাশরাফি। বলটা নিজেই ফিল্ডিং করলেন শুভাশিস। এরপর মাশরাফির দিকে ছুড়ে মারার ভঙ্গি করলেন। মাশরাফি প্রথমে গেলেন চমকে। তারপর হাত দিয়ে বোলিং প্রান্তে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন শুভাশিসক। জবাবে শুভাশিস তেড়ে গেলেন মাশরাফির দিকে। জন্ম নিলো বড় দৃষ্টিকটু এক দৃশ্য।

হাত-পা ছুড়ে এবং মুখভঙ্গিতে এরপর শুভাশিস যা করলেন, তা এক কথায় লজ্জাজনক। না, ক্রিকেটে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। বাংলাদেশেও এমন ঘটনার অস্তিত্ব আরো আছে। কিন্তু ক্রিকেটার ও ব্যক্তি মাশরাফির অবস্থান এতোটাই উঁচুতে যে, বাংলাদেশের তার সামনে এই রকম করাটাকে ‘বেয়াদবি’ ছাড় আর কোনো শব্দতেই আখ্যায়িত করা যায় না।

chardike-ad

ম্যাচ শেষে বিষয়টি নিয়ে মাশরাফি প্রথমে বললেন, ‘ওইটা কোনো বড় ঘটনা নয়। ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন কিছু ঘটতেই পারে। আমি জানি না— ওই সময়ে ওর কী করা উচিত ছিলো। তবে এটা সত্য যে, যা হয়েছে, তা বড় কিছু নয়।’

ঘটনাটা যে বড় কিছু নয়, তা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই কারো। কিন্তু ঘটনাটা যখন মাশরাফির সঙ্গে ঘটেছে এবং এক জুনিয়র ক্রিকেটারের মাধ্যমে, তখন এটি বড় না হয়ে পারে না। মাশরাফিকে তাই আবারও প্রশ্ন করা হয়েছে এ বিষয়ে।

মাশরাফি বলেন, ‘আসলে বড় হিসেবে আমারই উচিত ওর কাছে স্যরি বলা। আমার উচিত ছিলো আরো ঠাণ্ডা থাকা। আমি ম্যাচটা জিততে চেয়েছি। সেও ম্যাচটা জিততে চেয়েছি। এমন অবস্থায় ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে।’

ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের হাত মেলানোর সময় শুভাশিস-মাশরাফিও হাত মিলিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে শুভাশিসের সতীর্থরাও বেশ বিস্মিত। খেলা চলাকালীন সময়ে তাসকিনকে বারবার দেখা গেছে, শুভাশিসকে চুপ থাকতে বলতে। জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা প্রতি বল পরপর শুভাশিসের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু মাঠে শুভাশিসের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। জয়ের পর তার আচরণ ছিল ঔদ্ধত্য।