মুসলিম পর্যটকদের জন্য শীর্ষ পর্যটন স্থান হতে চায় সৌদি আরব। সৌদি রাজ্যের লোহিত সাগর তীর ঘেঁষা অঞ্চলকে বৈশ্বিক পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে সৌদি সরকার। আগামী ৬ মাসের মধ্যেই সৌদি আরব তার বহুত প্রতীক্ষিত পর্যটন ভিসা অনুমোদন দেবে। যা দেশটিতে কোনো বাধা ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ দেবে।
আরব নিউজের খবরে জানা গেছে হজ ও ওমরাহ পালনকারী লাখ লাখ মুসলিম তীর্থযাত্রীদের জন্য ভ্রমণ ব্যয় সীমিত করাও ইঙ্গিত দিচ্ছে সৌদি সরকার।
লন্ডনে বিশ্ব পর্যটন বাজারের একটি সাক্ষাতকারে সৌদি কমিশন ফর ট্যুরিজম অ্যান্ড ন্যাশনাল হেরিটেজের (এসসিএনএইচ) উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা সৌদি আরবের পর্যটন খাতের লক্ষ্য নিয়ে একথা বলেছেন।
সৌদি আরবে পর্যটন বিষয়ক ওই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ৫টি ইউনেস্কো সম্মানিত স্থান রয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে আরো ১০টি পাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। বর্তমানে সৌদি সরকার ১৬৫টি দেশকে ভ্রমণ ভিসা অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে, এতে ৬৬টিই মুসলিম রাষ্ট্র।
তিনি জানান, সৌদি আরব সব জাতি, ধর্ম এবং নারীদের তাদের রাজ্যে স্বাগত জানাবে। ভ্রমণে নারীদের পোশাক কী হতে পারে এবং অন্যান্য নতুন নিয়মগুলো সম্পর্কে পরবর্তীতে জানানো হবে।
সৌদি আরবের একটি প্রধান ভ্রমণ অপারেটর সংস্থা অ্যারাবিয়ান নাইটসের প্রতিষ্ঠাতা ড.ইয়াজিদ আল সাম্মারি বলেন, মানুষ খুবই আগ্রহী এ বিষয়ে। এরমধ্যেই অনেক ইউরোপীয় এজেন্ট এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। লোহিত সাগর তীর ঘেঁষা অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে ভার্জিন গ্রুপের প্রধান রিচার্ড ব্র্যান্সনকে পরামর্শ দিতে আবেদন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের সবকিছু রয়েছে। আমাদের ইতিহাসই প্রতিযোগিতাপূর্ণ সুযোগ দিচ্ছে। আমাদের রয়েছে হাজার বছরের ইসলাম ও ইসলাম পূর্ব সময়ের ইতিহাস ও সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য। আমরা সকলের জন্য উন্মুক্ত। তিনি আরো বলেন, মুসলিম পর্যটকদের জন্য আমাদের সুবিধা হল এখানে সবকিছুই হালাল।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সৌদি আরবের মোট দেশজ উৎপাদনের মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। তারা বেশিরভাগ অর্থই ধর্মীয় কারণে দেশটিতে আসে। হজ এবং ওমরাহ হজ থেকে সৌদি আরবের বাৎসরিক আয় ১২ হাজার কোটি ডলার।
সৌদি আরব সৌদি আরবের অর্থনীতিকেও নতুন করে সাজাতে দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান পরিকল্পনা মতো ভিশন-২০৩০ হাতে নিয়েছেন। তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তি, পর্যটন, বিনোদন ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার। নারীদেরও স্বাধীনতার পরিধিও বাড়িয়েছে দেশটির সরকার।