sylhet-victoryএমন দুর্দান্ত শুরুর স্বপ্ন ঘুমের ঘরেও কি কখনো দেখেছিলেন নাসির হোসেন? বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবারের মতো একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির নেতৃত্ব তার কাঁধে। এর আগে যদিও অনিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে দুটি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে নতুন দল সিলেট সিক্সার্সের হয়ে এক রকম নতুন শুরুই ছিল নাসিরের জন্য।

শনিবার টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে শুরু সিলেটের। রোববার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এক আসর আগের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকেও ৪ উইকেটে হারিয়ে দিল সিলেট।

chardike-ad

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে নেন সিলেট অধিনায়ক নাসির। ঢাকার বিপক্ষেও টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে সফল ছিলেন। সফল এ ম্যাচেরও। নির্ধারিত ২০ ওভারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৬ উইকেটে ১৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি। জবাব দিতে নেমে উপুল থারাঙ্গার টানা দ্বিতীয় ফিফটি পেলেন। তাতে সহজ জয়ের পথে ছুটে চলা সিলেটের। শেষ দিকে নাটকীয় মোড়ের পর ৪ উইকেটের জয় সিলেটের। চার মেরে দলকে জয় এনে দেন নুরুল হাসান সোহান।

শেষ দিকে ম্যাচটা অবশ্য দারুণ নাটকীয় মোড় নিল। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। হাতে ৫ উইকেট। ব্রাভো প্রথম বলেই ফিরিয়ে দিলেন শুভাগত হোমকে। তখন নুরুল হাসান সোহান উইকেটে এসে বিশাল এক ছয়ে চাপ কিছুটা দূর করেন। পরের দুই বলে একটি করে সিঙ্গেল নেন সোহান ও প্লানকেট। এরপর ১ বল হাতে থাকতেই চার মেরে দলকে জয় এনে দেন সোহান।

ঢাকাকে হারানোর পর নাসির বলেছিলেন, প্রথম ৬ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কথা। এ ম্যাচের মোমেন্টাম খোঁজতে গেলে সেই একই কথাই বলতে হবে। প্রথম ৬ ওভারেই কুমিল্লার ২ উইকেটে ফেলে দেয় সিলেট। এরপর পর থেকেই পথ হারায় কুমিল্লা। আর এ ম্যাচেও দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন নাসির। ইমরুল কায়েসকে (১২) পরিস্কার বোল্ড করে ফেরান তিনি। এরপর লিটন দাস (২১) ও জস বাটলাককে (২) ফেরান তাইজুল ইসলাম। ৪৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে দলটির।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে মারলন স্যামুয়েলস ও অলক কাপালির ব্যাটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা কুমিল্লা। তবে অলক ১৯ বলে ২ ছয় ও ১ চারে ফিরে যান ২৬ রান করে। মারলন স্যামুয়েস ৪৭ বলে ৩ ছয় ও ২ চারে ৬০ রান করে দলকে বলার মতো পুঁজি এনে দেন। সিলেটের পক্ষে ক্রিশমার সান্টোকি ও তাইজুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন। ১ টি করে উইকেটে পেয়েছেন নাসির ও প্লানকেট।

জবাব দিতে নেমে থারাঙ্গা ও ফ্লেচারে দারুণ শুরু করে সিলেট। উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৩ রান যোগ করে দুজন। ফ্লেচার ৩৬ রান করে ফিরলেও টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন থারাঙ্গা। ৪০ বলে ২ ছয় ও ৫ চারে ৫১ রান করেন এই লঙ্কান ওপেনার। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে সাব্বির রহমান, থারাঙ্গা ও নাসির হোসেন বিদায় নিলে কিছুটা চাপে পড়ে সিলেট। সেই চাপ অবশ্য নুরুল হাসান এক ফুৎকারেই উড়িয়ে দেন। সোহান ৩ বলে ১ ছয় ও ১ চারে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন।