সময় এখন তারুণ্যের। তরুণরাই বদলে দিচ্ছে পৃথিবীর হালচাল। বদলের সে তালিকায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের তরুণরা। এমন পাঁচ বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি তরুণকে নিয়েই আজকের আয়োজন-
মাহমুদা সুলতানা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সবচেয়ে কনিষ্ঠ নারীকর্মী মাহমুদা সুলতানা। নাসা তাকে ‘বর্ষসেরা উদ্ভাবক’ ঘোষণা করেছে। পারমাণবিক স্কেল ‘গ্রাফিন’ নিয়ে সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রাখায় তিনি এ খেতাব লাভ করেন। নাসার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মাহমুদা সুলতানার বেড়ে ওঠা বাংলাদেশে।
জাহিদ সবুর: তিন সপ্তাহে দুই কোটি ব্যবহারকারী জুটিয়ে ফেসবুককে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছিল গুগল প্লাস বা জি প্লাস। তার নেপথ্যে ছিলেন বাংলাদেশি সফটওয়্যার প্রকৌশলী জাহিদ সবুর। এর অন্যতম টিম লিডার ছিলেন তিনি। শুরুতে গুগলের ব্যাঙ্গালুরু অফিসে যোগ দিলেও ছয় মাস পর যান ক্যালিফোর্নিয়া অফিসে। বর্তমানে তিনি জুরিখ অফিসে কাজ করছেন।
জাওয়েদ করিম: ইউটিউবের তিনজন প্রতিষ্ঠাতার একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাওয়েদ করিম। তার জন্ম জার্মানিতে হলেও বাবা নাইমুল করিম বাঙালি। জাওয়েদ শুধু ইউটিউব নয়, পোর্টেবল ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স, সলভিং ড্যাড পাজল, থ্রিডি স্প্রিং সিমুলেশন, রোবোটিক ওয়েবক্যাম, রেডিওসিটি ইনজিন, রে-ট্রেসার, লাইফ থ্রিডি, কোয়াক ২ মডেল ভিউয়ারসহ কয়েকটি প্রজেক্টের উদ্ভাবক।
নাফিস বিন জাফর: নাফিস বিন জাফর অস্কার জয়ী প্রথম বাংলাদেশি। এ পর্যন্ত তিনি অস্কার জিতেছেন দুই বার। নাফিসের জন্ম ঢাকায়। বাবা জাফর বিন বাশার এবং মা নাফিসা জাফর। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একজন সফল সফটওয়্যার প্রকৌশলী এবং অ্যানিমেশন বিশেষজ্ঞ।
সাকিব আল হাসান: সাকিব আল হাসান শুধু একজন ক্রিকেটার নন; বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। বিশ্বজয়ী এ তরুণ বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বাড়াচ্ছেন রেকর্ডের ঝুলি।
লেখক: মাহবুবর রহমান সুমন, সৌজন্যে: জাগোনিউজ