মালয়েশিয়ায় অনুপ্রবেশের দায়ে সাত বাংলাদেশিকে তিন মাস সাজা শেষে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ওই দেশের আদালত। বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া হয়ে মালয়েশিয়ায় নৌকাযোগে প্রবেশের সময় ৭ জুলাই পোর্টক্লাং এলাকা থেকে মালয়েশিয়া কোস্টগার্ড সাত বাংলাদেশি ও ইন্দোনেশিয়ার মানবপাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে।
জানা যায়, ইন্দোনেশিয়ার মানবপাচার চক্রের তিন সদস্য সাত বাংলাদেশিদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫ হাজার রিঙ্গিত নেয় সাগরপথে অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য। আটকের পর ১৪ জুলাই অনুপ্রবেশ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৭ এর ৬৭০ মাইগ্রেন্ট অ্যাক্টে আটককৃত সাত বাংলাদেশি নাগরিককে তিন মাস করে হাজত বাসের রায় দেন সেলাঙ্গুর রাজ্যের আদালত।
সাত বাংলাদেশিরা হলো- কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার বেতবাড়িয়ার রমজান আলীর ছেলে হাসান মাহমুদ, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার ময়নাবাদ গ্রামের আকছির মিয়ার ছেলে তাজ উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর জেলার রাইপুর থানার মফিজুলের ছেলে কবির হোসেন, মেহেরপুরের মজিবার তরফদারের ছেলে মো. মিন্টু রহমান, যশোরের মারশা থানার আব্দুস সাওারের ছেলে মো. কামাল, গোপালগঞ্জের মমলেছ মোল্লার ছেলে আমিন মোল্লা, যশোরের বরকত উল্লার ছেলে মো. তোহিদ।
বাংলাদেশিদের তিন মাস সাজা শেষে ২০ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে দেশে ফেরত পাঠাতে তাদেরকে সিমুনিয়া ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। তবে কবে নাগাদ তাদের ফেরত পাঠানো হবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের কল্যাণ সহকারী মুকসেদ আলী জানান, ২০ অক্টোবর সাত বাংলাদেশির সাজা শেষ হওয়ার পর দেশে ফেরত পাঠাতে তাদের সিমুনিয়া ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে। এখন হাইকমিশন থেকে ট্রাভেল পাশ ইস্যু করে ক্যাম্পে পাঠানো হবে। এরপর বিমানের টিকিট করে এদের দেশে পাঠানো হবে।