চরম প্রতিকূলতা, কঠোর পরিস্থিতির মাঝেও সীমান্তে সর্বদা প্রহরা দেন সেনারা। শত্রুপক্ষের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেন। তবে, দেশকে রক্ষা করতে শুধুমাত্র দক্ষ সেনা হলেই চলবেনা। প্রয়োজন রয়েছে অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্রশস্ত্রও। সেই নিরিখে সামরিক শক্তিতে শক্তিশালী বিশ্বের প্রথম সারির পাঁচটি দেশ হল:
গ্রেট ব্রিটেন: সামরিক খাতে প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ব্রিটেন সরকারের। ব্রিটেনের সামরিক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৭০ জন সেনা।
জাপান: জাপানের সেলফ ডিফেন্স ফোর্স প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিশ্বজুজড়ে রয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৭ হাজার ৯০০ জন সেনা। সামরিক খাতে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করে এই দেশের সরকার। জাপানের সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ এবং শক্তিশালী।
তুরস্ক: ১৯৫২ সালে মার্কিন নেতৃত্বে ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল এই দেশ। প্রায় ১৮.২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয় সামরিক ক্ষেত্রে। প্রায় ছয় লক্ষ সেনা এই দেশের সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত।
ইতালি: ইতালির সামরিক বাহিনী সেনা, নৌবাহিনী এবং এয়ারফোর্স দ্বারা গঠিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতালির সামরিক বাহিনী আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া: ১৯৪৮ সালে কোরিয়া ভাগ হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি হয় আলাদা সামরিক বাহিনী। এই দেশে সামরিক খাতে ৩৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়। তবে কোরীও যুদ্ধ চলাকালীন চীন এবং উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর দ্বারা ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। ২০১৬ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ৬ লক্ষ ২৫ হাজার সেনা রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে। কালের কণ্ঠ