দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে দুই দেশের সরকার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেছিলেন। তিনদিনের সেই সফর দুই দেশের জন্য অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ঐতিহাসিক সফর নিয়ে বাংলাদেশ এবং কোরিয়ার বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া ছবি ও তথ্যের ভিত্তিতে বাংলা টেলিগ্রাফের বিশেষ প্রতিবেদন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে ২০১০ সালের ১৫ মে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন। সিউলে শেখ হাসিনা দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লি মিয়ং বাকের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। উভয় দেশের মধ্যে ঢাকা ও সিউলের মধ্যে অর্থনীতি, জ্বালানি ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সফরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ছিলো কোরিয়ার বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্টানগুলোর সাথে মিটিং এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। যার মধ্যে কোরিয়ার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (কেসিসিআই) নেতৃবৃন্দের সাথে একটি বৈঠক ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ইকনোমিক এন্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড দি প্যাসিফিক (এসকাপ) এর উদ্বোধনী অধিবেশনেও যোগদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের বিশেষ ব্যবস্থায় সিউলের হান নদীতে সফরসঙ্গী মন্ত্রী, ব্যবসায়ী এবং সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে প্রমোদ ভ্রমন করেছিলেন। তৎকালীন সিউলের মেয়র দূষিত অবস্থা থেকে হান নদীকে একটি সুন্দর নদীতে পরিণত করার গল্প প্রধানমন্ত্রীকে। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে নদীর পরিবেশ পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত একটি চুক্তিও সম্পাদিত হয়।
এছাড়া শেখ হাসিনা হাজার হাজার বাংলাদেশী প্রবাসীদের উৎসব বাংলাদেশ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।