অবশেষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে কাতালুনিয়া। স্পেনের অন্তর্গত কাতালুনিয়ায় এতদিন স্বায়ত্তশাসন চলছিল। সম্প্রতি কাতালুনিয়া স্বাধীনতার জন্য গণভোটের আয়োজন করে এবং তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।
শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর কাতালুনিয়ার আঞ্চলিক পার্লামেন্টে ভোটাভুটি শেষে স্বাধীনতার ওই ঘোষণা দেওয়া হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কাতালান পার্লামেন্টের ১৩৫ সদস্যের মধ্যে স্বাধীনতার প্রশ্নে ভোটাভুটি হয়। এতে পক্ষে ভোট দেন ৭০ জন এবং বিপক্ষে ভোট দেন ১০জন। অন্য দুইজন খালি ব্যালট জমা দেন।
গণভোটের ‘রায়’ মেনে গত ১০ অক্টোবরই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সই করেন অঞ্চলিক নেতারা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তা কার্যকর না করে আলোচনার প্রস্তাব দেন কাতালান প্রেসিডেন্ট কার্লোস পুজদেমন।
অন্যদিকে কাতালুনিয়ার সোশালিস্ট পার্টি, পিপলস পার্টি ও সিউদাদানোসের পার্লামেন্ট সদস্যরা ভোট বয়কট করে অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যায়। তারা কার্যত কাতালুনিয়ার স্বাধীনতার বিরোধীতা করে স্পেনের সাথেই থাকতে ইচ্ছুক।
কাতালুসিয়ার গণভোটকে এবং তাদের স্বাধীনতাকে স্বীকার করেনি স্পেন। উল্টো স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিয়ে সেখানে কেন্দ্রের শাসন চালুর হুমকির দিয়েছিল দেশটি। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও কাতালুনিয়ার স্বাধীনতার প্রশ্নে স্পেনকে সমর্থন দিয়েছে।
ফলে কার্যত স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরোধ উপেক্ষা করেই আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দিয়েছে কাতালুনিয়া। স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই কাতালুনিয়ানদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।