চিকিৎসা শাস্ত্র মতে, একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যে বসবাসকারী ওয়াট শো এক ঘুমে পার করে দিয়েছে দুইশ চৌষট্টি ঘণ্টা অর্থাৎ এগারো দিন।
চলতি মাসের ১২ তারিখে দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ছোট্ট প্রাণোচ্ছ্বল এই বালক মায়ের সঙ্গে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে খালার বাড়িতে যায়। আর দশটা সাধারণ দিনের মতো সেদিনও রাতে খাওয়ার পর সে ঘুমাতে যায়।
পরের দিন তার মা তাকে ঘুম থেকে জাগাতে চেষ্টা করে। কিন্তু ঘুম ভাঙে না তার। অনেক চেষ্টা করেও কোনো কাজ হয় না। একটু চোখ খুলে আবার ঘুমিয়ে যায় ওয়াট শো। চিন্তিত হয়ে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত তাকে লুইসভিল শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরাও ব্যর্থ হন তার ঘুম ভাঙাতে।
এভাবে এগারো দিন ঘুমানোর পর চলতি মাসের তেইশ তারিখে তার ঘুম ভাঙে। হাফ ছেড়ে বাঁচে পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকেরা। তবে টানা ঘুমের ফলে তার কথা বলতে ও হাঁটতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে চিকিৎসকরা আশা করছেন খুব দ্রুত সে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
কিন্তু কেন এমন হলো? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি স্বয়ং চিকিৎসকেরাও। আপাতত এই সমস্যাকে তারা ‘মিস্টেরিয়াস স্লিপিং সিনড্রম’ নামে অবহিত করছেন। তবে তারা জানিয়েছেন আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিতভাবে দীর্ঘ ঘুমের প্রকৃত কারণ বলা যাবে।