চীনা ইকমার্স জায়ান্ট আলিবাবার সহ প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ম্যা ১৯৬৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি চীনের হ্যাংঝুতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্মদিন উপলক্ষে জ্যাক ম্যা সম্পর্কে নয়টি মজার তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্যাজেটস নাউ।
- জ্যাক ম্যা প্রায়ই তার সহপাঠীদের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হতেন। হালকা-পাতলা ও রোগাটে শিশুর মতো হওয়ায় কেউ তাকে নিরুত্সাহিত করত না। লিউ শিয়াইং এবং মার্থা এভরি লিখিত ‘আলিবাবা’ বইতে জ্যাক ম্যা’র ভাষায়, আমার চেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীকেও আমি কখনই ভয় পেতাম না।
- জ্যাক ম্যার বন্ধু এবং আলিবাবায় তার ব্যক্তিগত সহকারী চেন ওয়েই ‘জ্যাক ম্যা: ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও অব দ্য আলিবাবা গ্রুপ’ বইটিতে লিখেছেন ছোটবেলায় ঝিঁঝি পোকা সংগ্রহ করতেন জ্যাক এবং তাদের মারামারি প্রত্যক্ষ করতেন।
- জ্যাক ম্যা’র প্রকৃত নাম ম্যা ইউন। জ্যাক ম্যা’র এক পর্যটক বন্ধু তার নামের শুরুতে জ্যাক জুড়ে দিয়েছিলেন।
- জ্যাক ম্যা কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু পর পর দুবার কলেজ প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে তিনি তৃতীয়বারের চেষ্টায় কৃতকার্য হয়েছিলেন এবং হ্যাংঝু টিচার্স ইনস্টিটিউটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন।
- ১৯৮৮ সালে স্নাতক শেষ করার পর চাকরির জন্য ৩০ বার আবেদন করেছিলেন জ্যাক ম্যা। প্রতিবারই তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। চীনে কেএফসি প্রথম কার্যক্রম শুরু করলে জ্যাক ম্যাসহ আরও ২৩ জন চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেসময় একমাত্র জ্যাক ম্যা ছাড়া বাকি সবার চাকরি হয়েছিল এই কেএফসিতে।
- জ্যাক ম্যা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ২০১৬ তে বলেছিলেন, তিনি হার্ভার্ডে ভর্তি হতে চেয়ে দশবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন।
- ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে গিয়ে ইন্টারনেটের সঙ্গে প্রথম পরিচিত হন জ্যাক ম্যা ক্যারিয়ারের শুরুতে ট্রান্সলেশন ব্যবসা শুরু করেছিলেন এবং এর সুবাদে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের সুযোগ পান তিনি। সেই থেকে চীনের জন্য একটি ইন্টারনেট কোম্পানি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেই জ্যাক ম্যা ‘চায়না পেজ’ নামে একটি ইন্টারনেটভিত্তিক উদ্যোগ চালু করেছিলেন। এটি ইন্টারনেটে বিভিন্ন চীনা কোম্পানির জন্য একটি ডিরেক্টরি পেজ ছিল। জ্যাক ম্যার এ উদ্যোগটি সফলতার মুখ দেখেনি।
- ২০১৩ সালে আলিবাবার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন জ্যাক ম্যা এবং এখন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।