টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশ। কোন রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই দুই সিরিজেই হোয়াইটওয়াশের স্বাদ গ্রহণ করে টাইগাররা। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারলেও অসহায় আত্মসমর্পণ করেনি সাকিব বাহিনী। লড়াই করেই শেষ পর্যন্ত ২০ রানে হেরে যায়।
হারের ম্যাচেও বল হাতে নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব ও মেহেদী মিরাজ। ইনিংসের শুরুতেই দুই প্রান্ত থেকেই স্পিন আক্রমণ শুরু করে সাকিব ও মিরাজ। এতেই ভাঙেন ১১১ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ইংল্যান্ডের গড়া রেকর্ডটি।
১৯০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নামলে লেগ স্পিনার রেজি শোয়ার্জ ও অপ স্পিনার অব্রে ফকনার বোলিং শুরু করেন। সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই টেস্ট ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিকে টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি, ক্রিকেটের যে কোন ফরমেটেই দুই পাশ থেকে স্পিন বোলিং দিয়ে শুরু করা অভিজ্ঞতা আগে বাংলাদেশের। তবে সেটা বেশির ভাগ সময় এশিয়ার মাটিতে দেখা যেত। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার মত পেস বোলিং উইকেটেও তাই করলো বাংলাদেশ।
ব্লুমফন্টেইনের ম্যাঙাউঙ্গ ওভালে টস হেরে প্রথমে বল করে বাংলাদেশ। বল হাতে ইনিংসের শুরু করে সাকিব। পরের ওভারেই বোলিংয়ে আসেন মিরাজ। সাধারণত দক্ষিণ আফ্রিকার বাউন্সি উইকেটে পেস আক্রমণ দিয়েই বল শুরু করা হয়। পেসার সুবিধা বেশি পান।
তবে দুই পাশ থেকে বোলিং শুরু করে বাংলাদেশের দুই স্পিনার রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি ভালোই করেছিলেন। শুরুর দিকে ডি কক ও ডি ভিলিয়ার্স, শেষ দিকে মিলার, বেহাদিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১৯৫ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৭৫ রানে।