মুশফিকুর রহিম টেস্ট ক্রিকেটের দায়িত্বে। মাশরাফি বিন মুর্তজার কাঁধে ওয়ানডের দায়িত্ব। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব বুঝে নিলেন সাকিব আল হাসান। এর মধ্য দিয়ে তিন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ এগোচ্ছিল দুই অধিনায়কের কাঁধে চড়ে। চলতি বছর শ্রীলঙ্কা সিরিজে মাশরাফি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর সাকিবের কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেয় বিসিবি। সাকিবের অধিনায়কত্ব নতুন কিছু নয়। মাশরাফির ইনজুরিতে দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত বাংলাদেশকে তিন সংস্করণেই নেতৃত্ব দেন সাকিব। এর আগে বাংলাদেশকে ৯টি টেস্ট, ৫০টি ওয়ানডে ও ৪ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের নেতৃত্বে জয়ের কোনো রেকর্ড নেই। তবে ওয়ানডেতে ২৩টি এবং টেস্টে ১ জয়ের স্বাদ দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফর শেষে নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন সাকিব। দলের ব্যর্থতা ও বিতর্কের কারণে সাকিবকে সরিয়ে মুশফিকুর রহিমের কাঁধে তিন ফরম্যাটের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মূল দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পেলেও মাশরাফি অধিনায়ক হওয়ার পর সাকিব তার ডেপুটি হিসেবে কাজ করেছেন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সহ-অধিনায়ক থেকে সাকিব এখন অধিনায়ক।