Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

samsung-lgকোরিয়ার স্যামসাং ও এলজি ইলেক্ট্রনিক কোম্পানি বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অন সিয়ং ডু সাক্ষাৎকালে বাণিজ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে অবহিত করেন।

বৈঠক শেষে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানান, কোরিয়ার স্যামসাং ও এলজি ইলেক্ট্রনিক কোম্পানির সকল পণ্যই এখন বাংলাদেশে উৎপাদিত হবে। তিনি বলেন, কোরিয়ান এ কোম্পানি দুইটি বাংলাদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলবে এবং তাদের পণ্যসমুহ এ দেশেই উৎপাদন করবে।

chardike-ad

এছাড়াও কোরিয়া বাংলাদেশে বড় ধরনের বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (কেইপিজেড) পাশাপাশি কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ও বিনিয়োগ করবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করে পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানি করলে কোরিয়া আরো বেশি লাভবান হবে। তিনি জানান, এ মুহুর্তে কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমান এক হাজার ৫শ’ ৬ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি করেছে ২শ’ ৩৮ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে এক হাজার ২শ’ ৬৮ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে তৈরি বেশকিছু পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি ও কোটা মুক্ত সুবিধা প্রদান করেছে। এ সুবিধা গ্রহণের জন্য ব্যবসায়ীক জটিলতা দূর করতে উভয় দেশ কাজ করে যাচ্ছে এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে চলমান বাণিজ্য ব্যবধান কমানো হবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ২শ’ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ইপিজেডে বিনিয়োগ করেছে। সেদেশের আরো অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে। এজন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা হবে।

এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়ান বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আন্তরিকভাবে আগ্রহী। স্যামসাং ও এলজি ইলেক্ট্রনিক কোম্পানি জয়েন্ট ভেঞ্চারে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য বাড়বে এবং বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে। কোরিয়া এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সবধরনের সহায়তা প্রদান করবে। কোরিয়া বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়াবে বলে রাষ্ট্রদূত জানান। বাসস