Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

mashrafeদুই বছর আগে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম সাফল্য পেয়েছিলো বাংলাদেশ। দুই বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গিয়ে এই সফলতা প্রায় ভুলে যাওয়ার উপক্রম হলো মাশরাফিদের। কারণ এবার যে হারতে হয়েছে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে। তিন ম্যাচের একটিতেও নূন্যতম লড়াইও করতে পারেননি মাশরাফিরা। সিরিজ শেষে দেখানোর মতো কোনো অজুহাত পাননি মাশরাফি। কেবল বলেছেন, বোলিং ছিলো হতাশার, ব্যাটিংও তেমনই। হারতে হয়েছে এ কারণেই।

রোববার ইস্ট লন্ডনে তুলনামূলক ধীর গতির উইকেটে টস জিতে ৩৬৯ রানের পাহাড় গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাদের সর্বোচ্চ ওয়ানডে রানের রেকর্ড। ৯১ রান করেন ডু প্লেসি। হাফ সেঞ্চুরি করেন কুইনটন ডি কাক ও অভিষিক্ত তরুণ অ্যাইডেন মার্করামও।

chardike-ad

বাংলাদেশের বোলিং অন্য দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ছিলো নির্বিষ। বিশেষ পেসাররা ছিলেন চরমাভাবে ব্যর্থ। তারা আশাবাদী হওয়ার মতো একটা স্পেলও করতে পারেননি। অনেক বছর বাংলাদেশের বোলিংকে এতোটা নির্বিষ মনে হয়নি।

বিশাল রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। কিছুই করতে পারেননি ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। শুরুর এই ধাক্কাটা আর সামলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। সাকিব ও সাব্বির কিছুটা চেষ্টা করেছেন বটে, তবে তা ছিলো প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর সময় টিভিতে মাশরাফি বলেন, ‘তিনটা ম্যাচই খুব কঠিন ছিলো। সামনে টি-টোয়েন্টি আছে। আশা করি সবাই আরো বেশি মনোযোগ দিয়ে খেলবে। ওয়ানডে সিরিজে বোলিংটা ছিলো খুবই দুশ্চিন্তার ব্যাপার। ব্যাটিংও একই রকম ছিলো। আমরা তেমন জুটি গড়তে পারিনি। এ ধরনের কন্ডিশনে দ্রুত উইকেট নেয়াটা খুব জরুরি। আমরা সেটাও পারিনি। অজুহাত দিবো না। এখান থেকে আমাদের শিখতে হবে। আশা করি টি-টোয়েন্টি সিরিজে সব কিছু নতুন করে শুরু হবে।’

টি-টোয়েন্টি সিরিজে আসলেই সব কিছু নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে। এই সিরিজ বাংলাদেশ প্রবেশ করবে তিন অধিনায়কের যুগে। এ বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের সময় টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দিয়েছেন মাশরাফি। নতুন অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হবে তার। এই শুরুটা নানা কারণেই ভালো করা দরকার বাংলাদেশের। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডেতে এমন বাজেভাবে হারার দুঃখটা কেবল ভালো কিছুর মাধ্যমেই ভুলতে পারবেন সাকিবরা।