Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

mahmudulপ্রেম কোন সম্পর্কও মানে না। পরিনয় হলেই শেষ অবস্থায় যাবার চেষ্টা চলে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সিরাগঞ্জের উল্লপাড়ায়। আপন ফুফুকে নিয়ে উধাও হয়েছে মাহমুদুল তালুকদার (২৫) নামে তার এক ভাতিজা।

গত ২০ দিন ধরে তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় মেয়ের বড় ভাই মানছুর রহমান বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- মাহমুদুল তালুকদার (২৫), তার বাবা শহিদুল তালুকদার (৫০), মামা মোহাম্মাদ আলী (৩৫) নানা আশরাফ আলী তালুকদার (৬৫)।

chardike-ad

উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের খাষচর জামালপুর গ্রামে এ আলোচিত ঘটনা ঘটে। উধাও হয়ে যাওয়া মাহমুদুল তালুকদার মেয়েটির বড় ভাই শহিদুল তালুকদারের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, প্রেমের টানে তারা এমন কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন। ইতোমধ্যে তারা দুইজন কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু, তাদের এমন কাজ মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী। তারা বলছেন, সামাজিকতা বলে একটা কথা আছে। তাই বলে রক্তের সম্পর্কিত ফুফুকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে সত্যিই মানা যায় না।

উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের এসআই শাহিন হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় চলতি মাসের ১৩ অক্টোবর মেয়ের বড় ভাই মানছুর রহমান বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে মাহমুদুলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

এসআই শাহিন আরও বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মাহমুদুল তালুকদার মেয়েকে তার বাড়িতে থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এ সময় মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে ছেলের বাবা, মামা ও নানা। এরপর থেকে এই যুগলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়েটি ছেলের সম্পর্কে ফুফু হয়। তাদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। এমনকি তাদের বিয়েও হয়নি। পরিবারের দাবি মাহমুদুল তাদের মেয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করছে এবং লুকিয়ে রেখেছে।

এ ব্যাপারে মাহমুদুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি কল কেটে দেন। এরপর থেকে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। জাগো নিউজ